Kulpi Clash: বাঁশ-লাঠি নিয়ে বেপরোয়া ভাঙচুর, বোমাবাজি, গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত কুলপি

Kulpi Clash: আক্রান্তরা নিজেদের তৃণমূলের কর্মী সমর্থক বলে দাবি করেছেন। কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও জোরজুলমের অভিযোগ তোলায় এই হামলা বলে জানিয়েছেন।

Kulpi Clash: বাঁশ-লাঠি নিয়ে বেপরোয়া ভাঙচুর, বোমাবাজি, গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তপ্ত কুলপি
কুলপিতে সংঘর্ষ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 12, 2023 | 4:52 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির হেলিয়াগাছি গ্রাম। অভিযোগ, কুলপির পঞ্চায়েত সমিতির বিদ্যুতের কর্মাধ্যক্ষ হোসেন আলি পুরকাইতের অনুগামীরা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হেলিয়াগাছি গ্রামের একটি দোকান ও বেশ কয়েকটি বাড়িতে বাঁশ, লাঠি নিয়ে আক্রমণ চালায়। ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও আক্রান্ত হন। কমবেশি ৭ জন আহত হয়েছেন। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছে, তাঁরা নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরাও তৃণমূল কর্মী। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব সামনে এলেও নেতৃত্ব দায় ঠেলেছে আইএসএফের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে আইএসএফ। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা হেলিয়াগাছি গ্রামে। ঘটনার খবর পেয়ে মন্দিরবাজারের এসডিপিও বিশ্বজিত নস্কর, কুলপির ওসি বাপি রায়ের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে।

আহতদের উদ্ধার করে কুলপি হাসপাতালে পাঠায়। গ্রামে পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। আক্রান্তরা নিজেদের তৃণমূলের কর্মী সমর্থক বলে দাবি করেছেন। কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও জোরজুলমের অভিযোগ তোলায় এই হামলা বলে জানিয়েছেন।

সম্প্রতি কুলপি থানায় ওই কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একটি গণস্বাক্ষর করে অভিযোগ জমা পড়েছে। এরপরে এই রোষ বলে অভিযোগ। যদিও বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার আক্রান্তদের তৃণমূল কর্মী সমর্থক বলে মানতে চাননি। বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বলে তিনি জানিয়েছেন। এই ঘটনায় আইএসএফকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন বিধায়ক।

এ প্রসঙ্গে কুলপির বিধায়ক জগারঞ্জন হালদার বলেন, “আইএসএফের লোক বোমা নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। কর্মাধ্যক্ষকে মার্ডার করার জন্য। গ্রামবাসীরা তেড়ে গেলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।” কর্মাধ্যক্ষ হোসেন আলি পুরকাইতের বক্তব্য, “যাঁরা বোমা নিয়ে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল, তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোটা বিষয়টি পুলিশ দেখছে।” অন্যদিকে, আইএসএফের কুলপি ব্লকের সভাপতি বাহারুদ্দিন মোল্লা বলেন, “তৃণমূল বলেছিল, আইএসএফ করা যাবে না। তৃণমূল বাংলাকে জমিদারি পেয়েছে। পুলিশ যথাযথ তদন্ত করুক। অভিযুক্তদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করুক।”