Mid Day Meal: মিড ডে মিলে সোয়াবিনের ভিতর বড় বড় পোকা! প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ
Mid Day Meal: অভিযোগ, অনেক পড়ুয়াকে সেই খাবার খেতে জোর করছেন প্রধান শিক্ষক সোমনাথ হালদার। এই ঘটনার কথা অভিভাবকরা জানতে পারার পর প্রতিবাদ করেন।
কুলপি: মিড ডে মিলে ভর্তি পোকা। সোয়াবিনের অবস্থা দেখে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকেরা। অভিযোগ উঠছে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্কুল চত্বর। পড়ুয়াদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকই জোর করছেন ওই নিম্নমানের খাবার খেতে। এই বিষয়টি নজরে আসার পরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই দাবি অভিভাবকদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির দক্ষিণ রাজারামপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। অভিভাবকদের অভিযোগ, গত শনিবার থেকে এই স্কুলের পড়ুয়াদের ভাতের সঙ্গে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। পোকা ভর্তি সোয়াবিনের তরকারি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অভিভাবকেরা।
অভিযোগ, অনেক পড়ুয়াকে সেই খাবার খেতে জোর করছেন প্রধান শিক্ষক সোমনাথ হালদার। এই ঘটনার কথা অভিভাবকরা জানতে পারার পর প্রতিবাদ করেন। স্কুলে এসে অভিভাবকেরা দেখতে পান সোয়াবিনের মধ্যে রয়েছে বড় বড় পোকা। প্রধান শিক্ষককে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তাঁরা। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। উল্টে একই খাবার পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে।
এরপর মঙ্গলবার থেকে অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। সমস্যা সমাধানে বুধবার স্কুলে একটি বৈঠক ডাকা হয়। অভিভাবক, ব্লকের মিড ডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, পুলিশ ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে বৈঠক শুরু হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ ঘিরে বৈঠক সরগরম হয়ে ওঠে।
মিড ডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দাবি, প্রতি মাসে প্রধান শিক্ষককে দু হাজার টাকা করে কাটমানি দিতে হয়। এই অভিযোগ ওঠার পরেই বৈঠক আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি তোলেন অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা। অভিভাবক ও পুলিশের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। কোনও ক্রমে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে বের করে নিয়ে যায় পুলিশ। বর্তমানে বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৪০। এই ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন অভিভাবকরা। ঘটনার ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা কেউ মুখ খুলতে চাননি।