‘কেউ যেন অভিযোগ করতে না পারেন, সে ভাবেই তালিকা তৈরি করবেন’, ক্ষতিপূরণ নিয়ে প্রশাসনকে কড়া বার্তা মমতার

আগামী ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ইয়াস-পরবর্তী (Cyclone Yaas) ক্ষতিপূরণের আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হবে। খুঁটিনাটি দেখে তারপরই ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে।

'কেউ যেন অভিযোগ করতে না পারেন, সে ভাবেই তালিকা তৈরি করবেন', ক্ষতিপূরণ নিয়ে প্রশাসনকে কড়া বার্তা মমতার
ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: May 28, 2021 | 1:44 PM

সাগর: ইয়াস পরবর্তী গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সাগরের বৈঠকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বারবার তিনি একটাই বার্তা দেন, কোনও মানুষ যেন কোনও রকম অভিযোগ না করতে পারেন সে ভাবেই কাজ করতে হবে। কারা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য, তা যথাযথ ভাবে খতিয়ে দেখে তারপরই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও রকম ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ তিনি এবার সহ্য করবেন না বলে কড়া বার্তা দেন।

এদিন গঙ্গাসাগর হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের পাশেই তৈরি করা হয় অস্থায়ী হ্যাঙ্গার। মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর পর সেখানেই প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক পি উলগানাথন, সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা-সহ সেচ, মৎস্য এবং কৃষি দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা।

এদিন বৈঠকের শুরু নদী বাঁধগুলির প্রসঙ্গ তোলেন মমতা। বলেন, আরও শক্ত হাতে বাঁধগুলিকে ঠিক করতে হবে। তাঁর পর্যবেক্ষণ, কাঁচা মাটি দিয়ে বাঁধ করার ফলে বারবার তা ভেঙে যাচ্ছে। এদিকে এই মাটি দিয়ে বাঁধ তৈরি করতে গিয়ে সরকারের যে পরিমাণ টাকা খরচ হয় তাও জলে যাচ্ছে।

সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, “জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে, বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আপনি যে ভাবে নির্দেশ দেবেন, আমরা সে ভাবেই কাজ করব।” জেলা প্রশাসনকে মমতা জানান, যাঁরা বাইরে আছেন, তাঁদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। খাবার, জল, ত্রিপল যেন সকলে পান সেদিক খেয়াল রাখতে হবে।

আরও পড়ুন: ‘১৫ মিনিটের সাক্ষাতে’ মোদীর হাতে রিপোর্ট তুলে দেবেন মমতা, থাকবেন না পর্যালোচনা বৈঠকে

একইসঙ্গে তিনি বলেন, কৃষি জমির জল পাম্প করে যেন বের করার ব্যবস্থা করা হয়। ত্রাণ শিবিরে যাঁরা আছেন, তাঁদের যেন খাবার, জল, ওষুধের কোনও সমস্যা না হয় সেদিকেও কড়া নজরদারির জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন মমতা। আগামী ১৯ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ইয়াস-পরবর্তী ক্ষতিপূরণের আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হবে। খুঁটিনাটি দেখে তারপরই ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হবে। আমফানের সময় ত্রাণবিলি নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কোনও ভাবেই যাতে এবার তার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকে কড়া নজর মুখ্যমন্ত্রীর।