মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর আগেই পথ আটকে বিক্ষোভ, উত্তেজনা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা ()Mamata Banerjee হেলিকপ্টারে যাবেন উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ। সেখানে ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান নেওয়ার পাশাপাশি এবং কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পুনর্বাসন ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে।
গঙ্গাসাগর: ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের ইয়াসের প্রভাবে জলমগ্ন হয়ে যায় গঙ্গাসাগরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। জলে জলময় গঙ্গাসাগরের কশতলা, শিবপুর ও বকুলতলা। আর সেই এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থার কাজ নিয়ে শুরু ঝামেলা। গঙ্গাসাগরের মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর আগেই দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ঝামেলার জেরে ছড়াল উত্তেজনা। শিবপুর ও বকুলতলার বাসিন্দারা কচুবেড়িয়া বাজারে রাস্তা অবরোধ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে রয়েছে সাগর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, জল জমলেও দ্রুত সেই জল নেমে যায় কশতলা গ্রামে। এরপর শিবপুর ও বকুলতলা গ্রামের জল না নামায় বাসিন্দারা রাস্তা কেটে জল বের করতে যায়। সেই কাজে বাধা দেয় কশতলা গ্রামের গ্রামবাসীরা। এরপর দুই গ্রামের মধ্যে বেঁধে যায় ঝামেলা। এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে সাগর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী।তবে গঙ্গাসাগরে মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিন ইয়াস পরবর্তী গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার সাগরের বৈঠকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের বারবার তিনি একটাই বার্তা দেন, কোনও মানুষ যেন কোনও রকম অভিযোগ না করতে পারেন সে ভাবেই কাজ করতে হবে। কারা ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য, তা যথাযথ ভাবে খতিয়ে দেখে তারপরই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনও রকম ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ তিনি এবার সহ্য করবেন না বলে কড়া বার্তা দেন। এদিন গঙ্গাসাগর হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডের পাশেই তৈরি করা হয় অস্থায়ী হ্যাঙ্গার। মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছনোর পর সেখানেই প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করেন। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলাশাসক পি উলগানাথন, সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা-সহ সেচ, মৎস্য এবং কৃষি দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা।