Bishnupur chaos: মাছ ধরা নিয়ে গন্ডগোল! একসঙ্গে দুই ভাইকে খুনের চেষ্টা দুষ্কৃতীদের
South 24 pargana: ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
বিষ্ণুপুর: মাছ ধরাকে নিয়ে গন্ডগোল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুইভাইকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উস্তি থানার আমতোয়ালি এলাকার। গুরুতর জখম অবস্থায় দুই ভাইকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বছর চব্বিশ সাগির লস্কর ও বছর তেরোর মিনাজ লস্কর গুরুতর জখম হন তাঁরা। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বাপ্পা লস্কর নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে জেরা করে বাকি দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, উস্তির চকা বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা সাকির ও মিনাজ। গত কয়েকদিন আগে গ্রামের পাশের খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে একদল যুবকের সঙ্গে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়ে দুই ভাই। তখনকার মতো গন্ডগোল মিটে গেলেও বদলা নেওয়ার অপেক্ষায় ছিল দুষ্কৃতীকারী যুবকরা।
রবিবার সন্ধে নাগাদ কাজের সূত্রে ছোট ভাই মিনাজ আমতোয়ালি এলাকায় গেলে অতর্কিতে দুষ্কৃতীরা তার উপর হামলা করে। সেই খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বড় দাদা সাগির জখম ভাইকে উদ্ধার করতে গেলে তার উপরও হামলা চালায়। প্রকাশ্যে দুই ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করা হলেও বাধা দিতে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই ভাইকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় বানেশ্বরপুর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিকে আজই বাসন্তিতে একটি খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। শীতের সন্ধ্যায় রাস্তায় এমনিতেই লোক কম ছিল। বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়িতে। শ্যালক নিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের তরফ থেকে শুরু হয় খোঁজ। পরে গ্রামেরই রাস্তার সরু গলিতে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় যুবকের দেহ। মাথার পিছনের অংশে গভীর ক্ষত। রক্ত বের হচ্ছে তা থেকে। মাংস দলা কিছুটা ছিটকে বেরিয়ে পড়েছে রাস্তায়। রবিবার সন্ধ্যায় ভয়ঙ্কর ঘটনা বাসন্তীর উত্তর মোকামবেড়িয়া গ্রামে। মৃতের নাম ভুবন মণ্ডল (২৯)।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে খাওয়াদাওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও শ্যালক না আসায়, তাঁকেই আনতে গিয়েছিলেন তিনি। বাইকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছিল। প্রথমে পরিবারের সদস্যরা মনে করেছিলেন, হয়তো অন্য কোথাও গল্প করছেন তিনি। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করা হয়। প্রথমে শ্বশুরবাড়িতেই খোঁজা হয়। কিন্তু সেখান থেকে কোনও ইতিবাচক কিছু জানতে পারেননি তাঁরা।
আরও পড়ুন: Christmas Festival: ‘মনে মনে মেলামেশা করুন’… ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক করলেন মমতা