HC on illegal construction: সময় বেধে দিল হাইকোর্ট, বেআইনি নির্মাণ উচ্ছেদ গঙ্গাসাগর মেলার আগেই

Kachuberia to Gangasagar: আগামী শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় কাকদ্বীপের মহকুমাশাসককে আদালতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির থেকে সেই রিপোর্ট দিতে হবে।

HC on illegal construction: সময় বেধে দিল হাইকোর্ট, বেআইনি নির্মাণ উচ্ছেদ গঙ্গাসাগর মেলার আগেই
হাইকোর্টে চিটফান্ড মামলা। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 20, 2021 | 7:52 PM

কলকাতা: কচুবেড়িয়া থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত রাজ্য সড়কের দু’পাশের বেআইনি নির্মাণ উচ্ছেদের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী শুক্রবারের মধ্যে এই বেআইনি নির্মাণ উচ্ছেদ করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। শুধু নির্দেশ দেওয়াই নয়, সেই নির্দেশ পালন করা হল কি না তাও জানাতে হবে কাকদ্বীপের মহকুমাশাসককে।

আগামী শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় কাকদ্বীপের মহকুমাশাসককে আদালতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির থেকে সেই রিপোর্ট দিতে হবে। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ২০১৬ সালে বেআইনি ওই নির্মাণ ভাঙতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরে মাঝে এতগুলো বছর পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও আদালতের সেই নির্দেশ মানা হয়নি।

গত সেপ্টেম্বর মাসে মামলাটি আবার ওঠে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার এজলাসে। ২ সেপ্টেম্বর ১৫ দিনের মধ্যে জবরদখল উচ্ছেদের নির্দেশ দেন বিচারপতি। কিন্তু সেই নির্দেশওএখনও পালন করা হয়নি। শেষে আদালত অবমাননার মামলায় সোমবার হাইকোর্ট এই নির্দেশ দেয়। আগামী শুক্রবারের মধ্যে নির্দেশ কার্যকরের দায়িত্ব দিয়েছেন মহকুমাশাসককে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে আদালতের এই নির্দেশ নিঃসন্দেহে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রসঙ্গত ইতিমধ্যেই গঙ্গাসাগরের মেলা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গত বছরই সাগর স্নানের ক্ষেত্রে নানা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। কোভিড বিধি মেনে পরিবহণ থেকে শুরু করে যাত্রীদের থাকা, সাগরস্নান সবেতেই কড়া নজর ছিল প্রশাসনের।

গঙ্গাসাগর উপলক্ষে বাসের সংখ্যা যেমন বাড়ানো হয়েছিল, বাসে ওঠার আগে তেমনই তীর্থযাত্রীদের মেডিকেল স্ক্যানার ও থার্মাল গানের মাধ্যমে দেহের উষ্ণতা মাপা হয়। গঙ্গাসাগরে যাতায়াতে যে জেটিগুলি ব্যবহৃত হয়, সেখানে স্যানিটাইজার টানেলের ব্যবস্থা করা হয়। বিনামূল্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিলিরও ব্যবস্থা ছিল। মেলার মধ্যে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টেরও ব্যবস্থা ছিল।

এবারও বেশ কড়াকড়ি। এবার ড্রোনের মাধ্যমে সাগরস্নানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ড্রোনের মাধ্যমে পুণ্যার্থীদের উপর সাগরের জল ছেটানোর ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। কোভিড পরিস্থিতিতে সাগরের জলে নেমে ডুব দেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আদালত। জেলা প্রশাসন ও তীর্থ যাত্রীদের যতটা সম্ভব জলে না নামার জন্য প্রচার চালিয়েছিল। পরিবর্তে করোনা সংক্রমণ এড়াতে বেশ কিছু বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। যেমন ই স্নান, সমুদ্রের জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে নিয়ে গিয়ে অস্থায়ী বাথরূম তৈরি করে স্নানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। গতবারে ই-স্নান ঘিরে পুর্ণার্থীদের আকর্ষণ তুঙ্গে উঠেছিল। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে জেলা প্রশাসন পরিকল্পনা করছে স্নানের পরিবর্তে ড্রোনের মাধ্যমে আকাশ পথে জল ছিটিয়ে তীর্থ যাত্রীদের ‘শুদ্ধিকরণ’ হবে।

আরও পড়ুন: KMC Election 2021: ‘থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ…’, ভোটের পরদিনই নগরপালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা

আরও পড়ুন: Christmas Festival: ‘মনে মনে মেলামেশা করুন’… ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক করলেন মমতা