তোলার টাকা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা, অভিযোগ অস্বীকার শাসকদলের
স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী পলাশ ব্যাপারী নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকা তোলা চেয়েছিল বলে অভিযোগ।
ঘুটিয়ারি শরিফ: ব্যবসায়ীর কাছে তোলা চেয়েছিলেন দুষ্কৃতীরা। তোলার কিছু টাকা দিয়েওছিলেন ব্যবসায়ী। কিন্তু দাবি অনুযায়ী পুরো টাকা না দেওয়ায় গভীর রাতে ব্যবসায়ীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রীও। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন ২৪ পরগনার জীবনতলা থানার ঘুটিয়ারিশরীফ সুভাষ পল্লীতে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী পলাশ ব্যাপারী নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকা তোলা চেয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী ৩০ হাজার টাকা দেন। অভিযোগ, বাকি ২০ হাজার টাকা না দেওয়ায় বুধবার গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করে অভিযুক্তরা। দুটি গাড়ি সহ বাড়ির অন্যান্য সামগ্রী ও ভাঙচুর করা হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় পলাশকেও। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী মাধবী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরে খবর পেয়ে ঘুঁটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশের স্থানীয় সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই পলাশের কাছে বিভিন্ন অছিলায় টাকা-পয়সা চাইত স্থানীয় ওই দুষ্কৃতীরা। তারা স্থানীয় শাসক দলের ছত্র ছায়ায় রয়েছে বলেই দাবি আক্রান্তদের। শাসকদলে থাকার কারণে তাদের দাবি মেনে অনেক সময়ই টাকা পয়সা দিতে হতো পলাশের মত অন্যান্য গ্রামবাসীদেরও। তবে সম্প্রতি ৫০ হাজার টাকা চাইলে পলাশ ৩০ হাজার টাকা দেন। বাকি ২০ হাজার টাকা না দেওয়ায়, বৃহস্পতিবার রাতে তার বাড়িতে চড়াও হয়ে দুষ্কৃতীরা ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনার সাথে শাসক দলের কোন যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঘুটিয়ারি শরিফ ফাঁড়ির পুলিশ।