Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পোস্টার, অভিযোগ দায়ের

Recruitment Scam:পোস্টারের লিখিত অভিযোগ, বেআইনি নিয়োগে টাকার বিনিময়ে প্রকাশচন্দ্র মণ্ডল তাঁর মেয়ে-সহ ১৯ জনের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। ওই পোস্টারে অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে।

Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পোস্টার, অভিযোগ দায়ের
তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পোস্টার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2023 | 4:54 PM

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে শাসক দলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এলাকায় পোস্টার সাঁটানোর ঘটনায় বারুইপুর থানার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হল। বৃহস্পতিবার বারুইপুর থানার দক্ষিণ গড়িয়া এলাকার বাসিন্দা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে ওই পোস্টার নানা এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। পোস্টারের লিখিত অভিযোগ, বেআইনি নিয়োগে টাকার বিনিময়ে প্রকাশচন্দ্র মণ্ডল তাঁর মেয়ে-সহ ১৯ জনের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন। ওই পোস্টারে অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়েছে। তবে পোস্টারের লিখিত বক্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রকাশবাবু বলেন, “আমার মেয়ে অত্যন্ত মেধাবি। সে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে। আমি কোনও নেতা মন্ত্রীর কাছে যাই না। আমার মেয়ে ছাড়া বাকি কোন ১৮ জন চাকরি পেয়েছে, তা আমি জানি না।”

প্রকাশের আরও বক্তব্য, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার কয়েকজন পঞ্চায়েতে তা টিকিট পাবে না বলে মনে করছেন। তারাই ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে পোস্টার লাগিয়েছে।” শনিবার তিনি দলীয় শীর্ষ নেতাদের বিষয়টি জানান।

এরপরই বারুইপুর পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শ্যামসুন্দর চক্রবর্তী বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন,”এটি একটি চক্রান্ত। পুলিশকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য লিখিত আবেদন করেছি।” বারুইপুর থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ওই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ইস্যু করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, “কে পোস্টার লাগিয়েছে, সেটা বলতে পারব না। তবে যাঁরাই পোস্টার লাগিয়েছে, তাঁরা সঠিক লাগিয়েছে। ওঁ আবার দাবি করেছেন, মেয়ে যোগ্য তাই চাকরি পেয়েছে। ওঁদের কথা শুনলে মনে হয়, বাংলায় একমাত্র তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের ছেলে মেয়ে, বাড়ির বউ, পরিবারের সদস্যরাই চাকরি পাওয়ার যোগ্য। আর কেউ নন।”