Bhangar: চাকরির নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ, স্বীকার করে নিলেন ‘অভিযুক্ত’ শিক্ষক

Bhangar: ২০১২ সালে তিনি চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন তাঁরা। প্রাইমারিতে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় চাকরিপ্রার্থীদের থেকে ৮ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন নুরউদ্দিন নামে ওই শিক্ষক।

Bhangar: চাকরির নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ, স্বীকার করে নিলেন 'অভিযুক্ত' শিক্ষক
নুরউদ্দিন বৈদ্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 02, 2022 | 11:31 PM

ভাঙড় : চাকরি দেওয়ার নাম করে বেকারদের থেকে টাকা তোলার আরও এক অভিযোগ প্রকাশ্যে। এবার অভিযোগ ভাঙড়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষকের নাম নুরউদ্দিন বৈদ্য। দীর্ঘদিন ধরেই চাকরির জন্য চেষ্টা করছিলেন সাধন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। ২০১২ সালে তিনি চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন। প্রাইমারিতে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর থেকে ৮ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন নুরউদ্দিন নামে ওই ব্যক্তি। শুধু সাধন বাবুই নন, এমন আরও অনেকে টাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ভেবেছিলেন টাকা দিয়ে যদি চাকরি পাওয়া যায়, তবে মন্দ কী! কিন্তু সেই চাকরি আর মেলেনি। এমনকী যাঁর বিরুদ্ধে এই টাকা নেওয়ার অভিযোগ, সেই নুরউদ্দিনও বেশ কয়েকজনের থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

সাধন মণ্ডল বলেন, “আট লাখ টাকা যদি যায়, চাকরিটা তো পাব। আর এখন প্রাইমারি স্কুলে সম্মানও রয়েছে। মাইনেও ভাল। সেই মতো আমরা রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। ধার-দেনা করে, জমি বিক্রি করে টাকা দেওয়া হয়। আমি ও আমার ভাই মিলিয়ে ১০ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিই। কথা ছিল, বাকি টাকা চাকরি হওয়ার পর দেব। কিন্তু এত বছর ধরে উনি আমাদের ঘুরিয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকম বলছেন।” সাধন বাবুর বক্তব্য, তাঁকে একটি নিয়োগপত্রও হাতে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর দাবি, ওই নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। প্রতারিত চাকরিপ্রার্থীর বলেন, “এরপর ২০১৮ সালে তিনি স্ট্যাপ পেপারে লিখে দেন ১৩ জনের থেকে তিনি প্রায় ৮৪ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা টাকা ফেরত পাইনি। এখন তো চাকরি হবে না… অন্তত টাকাটা ফেরত পাই।”

এই অভিযোগের পর TV9 বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল নুরউদ্দিন নামে ওই শিক্ষকের সঙ্গেও। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ওই শিক্ষক। তাঁর সাফাই, “আমি বেকার ছেলেদের কিছু কাজ দেব বলে নিয়েছিলাম। প্রায় ১৫-২০ জনের থেকে টাকা নিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে টাকা নিয়েছিলাম প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। সেই টাকা আমি দিতাম আরামবাগের এক শিক্ষকের কাছে। পরে যখন বুঝতে পারছি, জাল নিয়োগপত্র দিচ্ছে, তখন আমি পিছু হটে যাই। আমি ওদের বললাম, আমি ফেঁসে গিয়েছি। আমি সম্পত্তি বেঁচে তাঁদের টাকা ফেরত দেব।”