TMC: ‘পঞ্চায়েত ভোটে না জেতালে ২ টাকার চাল বন্ধ’, ‘স্বাস্থ্য সাথী’ কেড়ে নেওয়ারও হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতার
TMC Leader: এবার তৃণমূল নেতা তথা এলাকার প্রধানের নিদান পঞ্চায়েত ভোট না দিলে ২টাকার চাল বন্ধ করে দেওয়ার।
জীবনতলা: পঞ্চায়েত ভোট কড়া নাড়চ্ছে দরজায়। প্রস্তুত হচ্ছে সকল শিবির। এক ইঞ্চিও জমি নাছতে নারাজ কেউ। রাজ্যজুড়ে চলছে ভোটের প্রচার। এমন আবহে এবার তৃণমূল নেতা তথা এলাকার প্রধানের নিদান পঞ্চায়েত ভোট না দিলে ২টাকার চাল বন্ধ করে দেওয়ার।
ক্যানিং পূর্ব বিধানসভায় জিবনতলা সারেঙ্গাবাদের প্রধান ইছাউদ্দিন সর্দার। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কর্মীদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “বিধানসভা ভোটে ফল খারাপ হয়েছে। তৃণমূলের সাথে থেকে বিশ্বাসঘাতকতা করে যারা আইএসএফ করেছে। পুনরায় যদি সেই ভুল করে তাহলে বড় খেসারত দিতে হবে।” তবে ঠিক কী ‘খেসারত’ দেওয়ার কথা তিনি বলতে চাইলেন? “আমরা মনে করলে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড কেড়ে নিতে পারতাম।দু’টাকা কিলো দরে চালও বন্ধ করতে পারতাম। কিন্তু আমরা সেটা করিনি। তাই পুনরায় যেন সেই ভুল না হয়।”
এরপর তাঁর দাবি, “পঞ্চায়েত ভোটে আমরা বিরোধী শূন্য করতে চাই। আর কেউ যদি মনে করে লড়বে বাপের বেটা হয়ে থাকে তাহলে আমাদের সঙ্গে সংঘাতে লড়ে দেখাক।” ঠিক এইভাবে প্রকাশ্যে কর্মী সবাই হুঙ্কার সুরে বক্তব্য রাখলেন এলাকার প্রধান ইছাউদ্দিন সর্দার। তিনি আরও বলেন “সারেঙ্গাবাদের ১৫২ নম্বর বুথ বিরোধী শূন্য করতে হবে। কেউ যদি মনে করেন আমাদের সঙ্গে থাকবেন, আমাদের রাস্তার উপর দিয়ে চলবেন, আমাদের সরকারি ২ টাকা চাল খাবেন। আমাদের সরকারি সাইকেল নিয়ে আব্বাস উদ্দিনের মিটিংয়ে যাবেন, সেটা হতে দেব না।”
তবে এই ঘটনায় বিরোধীরা মনে করছে পঞ্চায়েত ভোট কোনো ভাবেই সুস্থ নির্বাচন করতে দেবে না শাসক দল। তাই বিরোধী শূন্য করতে চায়। এই বিষয়ে নওসাদ সিদ্দিকি বলেন, “এই ধরনের তোলাবাজ নেতাগুলো সরকার এবং পার্টির মধ্যে যে বিভেদ রয়েছে তা ভুলে যাচ্ছে। এই প্রকল্পগুলি মানুষের ট্যাক্সের টাকায় চলছে। তাই এইসব মন্তব্য করে আইএসএফ কর্মীদের রোখা যাবে না।”