Sundorbon Tiger: ৬ দিনে গোটা লড়াইয়ে সামিল, বাগে বাঘ আসার পরই বেকায়দায় আহত বনকর্মী
Sundorbon Tiger: ১৪ জনের বিশেষ বাঘ ধরার এই দক্ষ দলটি কুলতলির মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকা থেকে এসেছিল। পিয়ালীর কেল্লা এলাকায় টানা লড়াই চালিয়েছেন তাঁরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ছ’দিনের ‘বাঘবন্দি’ খেলার টানা সাক্ষী তিনি। শেষমেশও বাঘও ধরা পড়ল ফাঁদে। তবে বাঘবন্দি খাঁচা নৌকায় তুলতে গিয়ে আহত হলেন এক বন সহায়ক কর্মী। মঙ্গল সামন্ত নামে ওই ব্যক্তি এলাকারই বাসিন্দা। বনদফতরের হয়ে কাজ করেন তিনি।
১৪ জনের বিশেষ বাঘ ধরার এই দক্ষ দলটি কুলতলির মৈপীঠ উপকূল থানা এলাকা থেকে এসেছিল। পিয়ালীর কেল্লা এলাকায় টানা লড়াই চালিয়েছেন তাঁরা। আজ, মঙ্গলবার বাঘটিকে তারা ধরার পর খাঁচায় ভরে বোটে তুলতে গিয়েছিলেন। সে সময় পা পিছনে যায় মঙ্গল সামন্তের। তাঁর পায়ে মারাত্মক চোট লাগে। সোজা হয়ে দাঁড়াতে অক্ষম তিনি।
মঙ্গল বললেন, “নৌকায় তোলা হচ্ছিল খাঁচাটা। আমি পিছন থেকে ঠেস দিয়েছিলাম। পা পিছলে গেল হঠাৎ। বাঘটি সুস্থ রয়েছে।” একটানা ছদিনের টানাপড়েনের অবসান। অবশেষে খাঁচাবন্দি কুলতলির রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। বন দফতরের ছোড়া ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হয় কুলতলির সেই বাঘ। বাঘের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে সেখানে পৌঁছেছেন পশু চিকিৎসক। গত বৃহস্পতিবার মাতলা নদী পেরিয়ে কুলতলির পিয়ালি নদীর কাছে চলে এসেছিল বাঘটি। তারপরে ডোঙ্গাজোড়ার শেখপাড়ায় তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলা হয় বাঘটিকে। তারপর বনদফতর এবং দমকলের মিলিত চেষ্টা বাগে আসে বাঘ।
বাঘকে ধরতে গিয়ে গত ছ’দিনে কম কাঠখড় পোড়াতে হয়নি বনকর্মীদের। ট্রাঙ্কুলাইজার নিয়ে বনকর্মীদের অভিযান, পিয়ালি নদী থেকে দমকলকর্মীদের জল স্প্রে, জঙ্গলে লঙ্কা বোমা নিক্ষেপ- কী না করা হয়েছে! কিন্তু বাঘ ছিল তার নিজের অবস্থানেই। বন দফতরের কর্মীরা তাকে নাগালে পায়নি। শোনা যাচ্ছিল তার গর্জন, চোখে পড়ছিল পায়ের ছাপ, শুধু দেখা দিচ্ছিল না সে-ই।
কয়েকদিন ধরে অভুক্ত ছিল বাঘটি। তাই সে যেখানে ছিল, সেখান থেকে বের হচ্ছিল না। বাঘটির দেখা মিলতেই পরপর দুটি ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। গুলি করার কিছুসময় পরেই নিস্তেজ হয়ে পড়ে বাঘটি। পুরোপুরি নিস্তেজ হয়ে গেলে ডোরাকাটাকে পরীক্ষা করতে যাবেন পশু চিকিৎসক ও অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মীরা। বাঘটির স্বাস্থ্য় পরীক্ষা করা হবে। পিয়ালি নদীর পাড় থেকেই পাকড়াও করা হয়েছে বাঘটিকে। বনকর্মীরা জানাচ্ছেন, বাঘটি পুরুষ। পূর্ণবয়স্ক। আপাতত সুস্থ আছে। ২ জন পশু চিকিৎসক ঝড়খালি থেকে রওনা দিয়েছেন শারীরিক পরীক্ষা করতে। বাঘটিকে ঝড়খালি না বনক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে, পরে তা সিদ্ধান্ত নেবে বন দফতর। বাঘটি এখনও ঘুমের ঘোরে রয়েছে। শুধুই খাঁচার ওপর থেকে মুখে জল দেওয়া হচ্ছে। বাঘটির শিকার ধরার দাঁত ও নখ ঠিক রয়েছে বলে প্রাথমিক মত বন দপ্তরের
আরও পড়ুন: কালো কাপড়-প্লাস্টিকে মুড়ে ফেলা হয়েছে খাঁচা, জলপথেই ঝড়খালি যাবে দক্ষিণ রায়
আরও পড়ুন: হাওড়া ভোট নিয়ে দ্রুত শুনানি আর্জি, আজ সিদ্ধান্ত নেবে হাইকোর্ট