TMC: মন্ত্রীর গড়েই দলে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে অঞ্চল সহ-সভাপতি সহ একাধিক কর্মী-সমর্থক

দল ছাড়লেন তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি সহ বহু নেতা-কর্মী। ঘাস-ফুল শিবির ছেড়ে এঁরা সকলে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন।

TMC: মন্ত্রীর গড়েই দলে ভাঙন! তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে অঞ্চল সহ-সভাপতি সহ একাধিক কর্মী-সমর্থক
প্রতীকি ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 05, 2023 | 2:24 AM

তুফানগঞ্জ: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের শাসকদলে ভাঙন। এবার খোদ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর গড় তুফানগঞ্জে ভাঙন ধরল। দল ছাড়লেন তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি সহ বহু নেতা-কর্মী। ঘাস-ফুল শিবির ছেড়ে এঁরা সকলে পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন।

জানা গিয়েছে, এদিন কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ-১ নম্বর ব্লকের ধলপল-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপির একটি কর্মী সমাবেশ ছিল। সেখানেই তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ দে সহ তৃণমূলের একাধিক কর্মী-সমর্থক পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নেন। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের সহ-সভাপতি সহ ৫১টি পরিবারের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায়। রাজ্যের শাসকদলে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে এঁরা সকলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন বলে জানিয়েছেন।

এদিন পদ্ম-পতাকা হাতে নিয়ে তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন অঞ্চল সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ দে বলেন, “আমি এলাকায় সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। কিন্তু তৃণমূলে সেই পরিস্থিতি নেই। কাজ করতে গেলে বিভিন্ন বাধার মুখে পড়তে হয়। তাই আমি সেখানে কাজ করতে না পেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। কারণ আমি আমার স্বার্থে কখনও দল করিনি। আগামীতেও করব না।” একইসঙ্গে দলে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “দলের মধ্যে এতটাই গোষ্ঠীকোন্দল, যা নিয়ে কোন ভালোমানুষ কাজ করতে পারবে না। তাই বাধ্য হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। এখন থেকে বিজেপির হয়ে এলাকায় কাজকর্ম করব।”

বিশ্বজিৎ দে-র দল ছাড়ার কারণ তুলে ধরে বিজেপি বিধায়ক মালতি রাভা বলেন, “নীতিভ্রষ্ট দলে ভালো মানুষ থাকতে পারে না।”

অন্যদিকে, দলের অন্দরে কোন্দলের কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের তুফানগঞ্জ-১ ব্লক সভাপতি প্রদীপ বসাক। তিনি বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। ধলপল-১ অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, ব্লক সভাপতির কথাও শোনেন না। আর তার জেরেই দলত্যাগ করেছেন বিশ্বজিৎ দে।” দলে বেনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে তিনি যা-ই বলুন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনা তৃণমূলের যে অস্বস্তি বাড়াল, তা বলা বাহুল্য। সবমিলিয়ে বলা যায়, পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ।