100 Days Work: হয়নি কাজ, অথচ ১২ লক্ষ টাকার কাজের খতিয়ান দিয়ে বসল বোর্ড! ১০০ দিনের কাজ নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য
100 Days Work: বোর্ডে লেখা একাধিক কাজের খতিয়ান। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ১২ লক্ষ টাকার কোনও কাজই হয়নি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে রায়গঞ্জের ভট্টদিঘী গ্রামে।
রায়গঞ্জ: একাধিক প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রের কর্তারা। অভিযোগ এরমধ্যে কাজ না হতেই রাতারাতি বসানো হল ১০০ দিনের ফলক। ফলকে লেখা ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে কুলিক নদীর পাড় সংস্কারের জন্য প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। শ্মশান সংস্কারের জন্য ২০২১-২২ অর্থবর্ষে খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ৩২ হাজার টাকারও বেশি। গ্রামের রাস্তায় গাছ লাগানোর জন্য ২০২১-২২ অর্থবর্ষে খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা। কিন্তু, গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ১২ লক্ষ টাকার কোনও কাজই হয়নি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে রায়গঞ্জের(Raiganj) ভট্টদিঘী গ্রামে। যা নিয়ে বিস্তর চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার প্রশাসনিক মহলে।
প্রসঙ্গত, ৭ই অগস্ট থেকে আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত বিশেষ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০ দিনের কাজের খতিয়ানের খতিয়ে দেখছেন। গ্রামবাসীদের অভিযোগ তাতেই চাপ বেড়েছে স্থানীয় প্রশাসনের উপর। গ্রামবাসী অনিতা ঘোষ বলেন, “আমাদের শ্মশানে, নদীতে কোনও কাজ হয়নি। কিন্তু, ওরা রাতারাতি বোর্ড বসিয়ে চলে গিয়েছে। বোর্ডে ৩-৫ লক্ষের কাজের কথা লেখা থাকলেও কোনও কাজই হয়নি। আমাদের মনে হয় কাজ না করে এটা টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছে। কোনও কাজ হয়নি, অথচ বোর্ড লাগিয়েছে। আমরা চাই নদী, রাস্তা সংস্কারের কাজ হোক। শ্মশাসানেরও কাজ হোক।”
যদিও গ্রামবাসীদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গ্রামের উপপ্রধান গৌতম সরকার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা রাতারাতি লাগানো হয়নি। তবে ঠিক কত সালে লাগানো হয়েছে মনে নেই। ২-৩ বছর হয়ে গিয়েছে মনে হয়। কুলিক নদী খননের জন্য, শ্মশান সংস্কারের জন্য যখন প্রপোজাল দেওয়া হয় তখন বসানো হয়েছিল। কিছু কাজ হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র সরকার টাকা বন্ধ করতেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তাই যত টাকা বরাদ্দ হয়েছিল সেই ভিত্তিতে বোর্ড লাগানো হয়েছিল। কিন্তু, টাকা বন্ধ হতে আর কাজ হয়নি।”