North Dinajpur: কর্তব্য়রত অবস্থাতেই ৬ সরকারি কর্মীকে আটক করে নিয়ে গেল পুলিশ, বসিয়ে রাখলেন ১৯ ঘণ্টা, কারণ অবাক হওয়ার মতো
North Dinajpur: জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলা মার্কেট কমিটির ৪ সদস্যর একটি দল ২ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মীকে নিয়ে চোপড়া থানার সুফলগছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা চেকিংয়ের কাজ শুরু করে।
উত্তর দিনাজপুর: জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির ৬ জন কর্মীকে নাকা চেকিং করার সময় সোমবার গভীর রাতে তুলে নিয়ে গেল চোপড়া থানার পুলিশ। প্রায় ১৯ ঘন্টারও বেশি সময় ধরে তাঁদের জেরা করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি মোবাইলও কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার প্রশাসনিক মহলে। জেলা শাসকের নির্দেশ জারির পরেও তোয়াক্কা না করে সরকারি কাজে কর্তব্যরত সরকারি ৬ কর্মীকে আটক করে ১৯ ঘণ্টারও বেশি সময় থানায় আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে সে বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি ইসলামপুর জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় সরকারি রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে বলেই মার্কেটিং দফতরের তরফে দাবি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলা মার্কেট কমিটির ৪ সদস্যর একটি দল ২ জন সিভিল ডিফেন্স কর্মীকে নিয়ে চোপড়া থানার সুফলগছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে নাকা চেকিংয়ের কাজ শুরু করে। যে সমস্ত গাড়ি সরকারকে রাজস্ব না দিয়ে চলে যাচ্ছিল, তাদের কাছ থেকে সরকারি পোর্টালের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করছিল ওই টিম। ওই চেকিং করার সময় আচমকাই চোপড়া থানার পুলিশের একটি দল ওই ৬ কর্মীকে আটক করে বলে অভিযোগ। তাঁদেরকে চোপড়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের বৈধ কাগজ থাকার পরেও আটক করে রাখা হয় বলে অভিযোগ। জেলা রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির সেক্রেটারি অসিত বরের অভিযোগ, ওই নাকা চেকিংয়ের বিষয়ে তাঁদের দফতরের চেয়ারম্যান তথা উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলাশাসক অরবিন্দ কুমার মীনা সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখ জেলার দুই পুলিশ সুপারকে লিখিত আকারে জানিয়েছিলেন। যেই চিঠির কপি জেলার সমস্ত থানার আধিকারিকদের এবং বিডিওদেরও পাঠানো হয়। এরপরেও কেনও ওই কর্মীদের আটক করা হল? কেনও ওই কর্মীদের টাকা পয়সা নিয়ে নিল পুলিশ? কেনও তাঁদের ফোন কেড়ে সুইচ অফ করে রাখা হল? কেনও আদায় হওয়া সরকারি রাজস্ব নিয়ে নেওয়া হল? প্রশ্ন তুলেছেন অসিত বর।
পাশাপাশি অসিতের দাবি, তিনি পুলিশের কাছেও কারণ জানতে চেয়েছেন, কিন্ত কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। চোপড়া থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে. ৬ জন ব্যক্তি আটক রয়েছেন। যাঁরা রেগুলেটেট মার্কেট কমিটির কর্মী। কিন্তু কেনও আটক রয়েছেন, সে বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি কেউ। ইসলামপুর পুলিশ সুপার শচিন মক্কারের সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।