Murder: বাড়ি থেকে উদ্ধার মহিলার গলাকাটা দেহ, খুনিকে ধরতে রাস্তায় কুকুর নিয়ে দৌড় পুলিশের
Murder: এ ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ।
রায়গঞ্জ: স্বামী অফিসে, ছেলে স্কুলে। বাড়িতে দিনভর একাই ছিলেন রায়গঞ্জের (Raiganj) রবীন্দ্রপল্লির বাসিন্দা সুপ্রিয়া দত্ত (৪১)। সূত্রের খবর মাঝে একবার ব্যাঙ্কেও গিয়েছিলেন তিনি। ব্যাঙ্ক থেকে বাড়িও ফিরেছিলেন। তারপরই ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা। নিজের ঘরে থেকে উদ্ধার হল সুপ্রিয়া দেবীর গলাকাটা মৃতদেহ। অফিস থেকে ফিরে স্ত্রীর এই অবস্থা দেখে চমকে যান স্বামী। স্কুলে থেকে ফিরে আসে ছেলেও। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে। খবর যায় পুলিশে। মুহূর্তেই পুলিশ কুকুর নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। বাড়ির চারপাশেও জোরদার তল্লাশি চালানো হয়। রবীন্দ্রপল্লীর রাস্তাতেও কুকুর নিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা যায় পুলিশকে।
শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে কোনো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পরিবারের দাবি, সুপ্রিয়া দেবী আত্মীয়ের বিয়ের জন্য টাকা তুলতে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। সেই টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশে এই খুন কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
ঘটনা প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ থানার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আমাদের তদন্ত চলছে। একজন সন্দেহভাজনের খোঁজ আমরা পেয়েছি। তাঁর সঙ্গে মৃতার পরিচয় ছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।”
মৃতার স্বামী দেবাশিস দত্ত বলেন, “আমি অফিস গিয়েছিলাম। ছেলে স্কুলে গিয়েছিলাম। পাশের বাড়ি থেকে আমার কাছে ফোন আসে। ফোনেই জানাতে পারি ঘটনার কথা। আমি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে দেখি বিছানায় ও গলা কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কী করে এ ঘটনা ঘটল, কে ঘটাল বুঝতে পারছি না। কাকে সন্দেহ করব বুঝতে পারছি না। এদিকে আমাকে ও জানিয়েছিল ও ব্যাঙ্কে যাবে। ব্যাঙ্কে গিয়েছিল। কিছু টাকা পয়সা তোলে। কিন্তু, তারপরই শুনি এ ঘটনার কথা।”