Raiganj Hospital Chaos: ‘বারবার জিজ্ঞাসা করলাম ডাক্তার কখন আসবে, কিন্তু ডাক্তার এল না, আমার বোনটা…’
North Dinajpur: মৃতার পরিবারের দাবি, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি থানার দেওখন্ডা গ্রামের বছর সাতাশের প্রসুতি রিয়া কর্মকার।
রায়গঞ্জ: প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। তবে সন্তান জন্মের পর এল মর্মান্তিক খবর। শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পরই মৃত্যু হল সদ্য মা-র। আর তারপরই উত্তেজনা ছড়াল নার্সিংহোমে। রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নার্সিংহোমে ঢুকে হাসপাতাল ভাঙচুরের অভিযোগ মৃতার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জের ইন্দিরা কলোনী এলাকার ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
মৃতার পরিবারের দাবি, দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডি থানার দেওখন্ডা গ্রামের বছর সাতাশের প্রসুতি রিয়া কর্মকার। প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে শুক্রবার বিকেলে রায়গঞ্জের ৩৪নং জাতীয় সড়কের ধারে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। রাতেই সন্তানের জন্ম দেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, কিন্তু শনিবার ভোর থেকে রিয়ার শারীরিক অবস্থার ক্রমে অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসককে আসার জন্য বারবার জানানো হয়। পরিবারের অভিযোগ, এরপর বেলা গড়িয়ে গেলেও চিকিৎসক আসেন না বলে অভিযোগ।
এদিকে, শনিবার দুপুরে রোগীর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে নার্সিংহোমের সিসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বিকেলেই রিয়ার মৃত্যু হয়। আর তাঁর মৃত্যুর জন্য চিকিৎসকের না আসাকেই দায়ি করে এবং নার্সিংহোমের গাফিলতির অভিযোগ তুলে এদিন সন্ধ্যায় নার্সিংহোমে ঢুকে রোগির পরিজনেরা ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
নার্সিংহোমের সিসিটিভি ফুটেজেও তা ধরা পড়ে। রিসেপশনের কাচ, কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। এদিকে খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। উত্তজনা থাকায় দীর্ঘক্ষণ চলে পুলিশি মোতায়েন। মৃতার পরিবারের তরফে নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।
মৃতের দাদা বলেন, “আমরা বোনকে হাসপাতালে ভর্তি করাই প্রসবের জন্য। বোন এবং সন্তান প্রথমে সুস্থই ছিল। তবে পরের দিন সকাল থেকেই ওদের অবস্থা খারাপের দিকে যায়। রোগী ঠিক মতো তাকাচ্ছিল না। কথাও কম বলছিল। আমরা ডাক্তার ডাকি। কিন্তু ডাক্তার আর আসেনি। বারবার জিজ্ঞাসা করছিলাম যে কখন আসবে ডাক্তার। ওরা শুধু বলেই গেল ডাক্তার আসবে। কিন্তু ডাক্তার এল না। তারপর আমার বোনটা শেষ হয়ে গেল”