Islampur Firing: বুক, মুখ ঝাঁঝরা করে চলল ছররা গুলি, এলাকা দখলের লড়াইয়ে ফের কাঠগড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
Chopra: চোপড়া বিধানসভার আওতায় পড়ে এই ভদ্রকালী এলাকা। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, এখানে দায়মুল হক ও খোলাই প্রধান নামে দুই নেতার অনুগামীদের লড়াই বহুদিনের।
উত্তর দিনাজপুর: এলাকা দখলের লড়াই ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। অভিযোগ, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে ঘিরে সোমবার সন্ধ্যায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। দফায় দফায় চলে ছররা গুলি। এই গুলিতে আহত হন দু’পক্ষের মোট ১০ জন। স্থানীয় সূত্রে খবর, এর মধ্যে পাঁচজন একই পরিবারের। ইসলামপুর থানার ভদ্রকালী এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় দুই রাজনৈতিক প্রভাবশালীর গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। এলাকা দখলকে ঘিরে এই দুই গোষ্ঠীর মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হয়। সোমবার রাতেও একই ঘটনা ঘটে। আহতদের ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বসানো হয় পুলিশ পিকেট।
চোপড়া বিধানসভার আওতায় পড়ে এই ভদ্রকালী এলাকা। এলাকার লোকজনের অভিযোগ, এখানে দায়মুল হক ও খোলাই প্রধান নামে দুই নেতার অনুগামীদের লড়াই বহুদিনের। এ নিয়ে প্রায়ই উত্তপ্ত হয় এলাকা। লড়াই গোলাগুলি, বোমাবাজি অবধিও পৌঁছে যায়। দায়মুল হক স্থানীয় গোবিন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান। তিনি তৃণমূলের। অন্যদিকে খোলাই প্রধান এক সময় সিপিএম করলেও এখন তৃণমূল করেন বলেই স্থানীয়দের দাবি। তাঁদের অনুগামীদের মধ্যেই সোমবার ঝামেলা হয়। তাতেই চলে ছররা গুলি। দায়মুল-গোষ্ঠীর এক যুবকের বুক, মুখ ভর্তি ক্ষত হয়ে যায়।
একই পরিবারের আহত পাঁচজনকে রাতেই ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত একজন জানান, “খোলাই প্রধানের লোকজন বাইরে থেকে লোক এনে আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়। আমরা বাড়িতেই বসেছিলাম। ঘরে ঢুকে গুলি চালায়।” ভদ্রকালীর স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ আনিস বলেন, “এরা গোবিন্দপুরের উপপ্রধান দায়মুল হকের সমর্থক। খোলাই আবার সিপিএমের প্রধান ছিলেন এক সময়। এখন উনি কিছুই নন, কোনও পদও নেই। উনি সবকিছু করাচ্ছেন। আসলে উনি এলাকা দখল করতে চাইছেন।”
যদিও খোলাই প্রধানের দলবলের উপরও পাল্টা হামলার অভিযোগ ওঠে সোমবার গভীর রাতে। হাসপাতালে ভর্তি হন খোলাই প্রধানের পাঁচ অনুগামীও। যৌবন আলি নামে তাঁর এক অনুগামী হাসপাতালের বেডে বসেই জানান, “আমি যদি গুলি চালাতাম তাহলে আমার মাথায় কী করে গুলি লাগল? আমাদের পাঁচজনকে মারধর করা হয়েছে।” আখতার আলি নামে আরেকজন বলেন, “আমরা তৃণমূল করি। আমরা খোলাই প্রধানের লোক। ওরাও একই দল করে। ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। কারও বাড়ি গিয়ে গুলি চালাইনি আমরা।”