বিদ্যাধরীর পারে সহজিয়া গানে সম্প্রীতির বার্তায় ভরপুর লোকসংস্কৃতি মেলা
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে এই লোকসংস্কৃতি মেলা। মেলার উদ্বোধনে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
উত্তর ২৪ পরগনা: ‘জাত কারে কয়’ বলে প্রশ্ন তুলেছিলেন লালন, বিদ্যাধরীর পারে সেই প্রশ্ন উসকে দিয়ে লোক ও সংস্কৃতির অর্থ বোঝাচ্ছে লালন ফকির ও লোকসংস্কৃতি মেলা (Folklore Fair)। এবার ১৬ বছরে পা দিল লালন ফকির লোকসংস্কৃতি মেলা(Folklore Fair)। প্রতি বছর এই সময়ে বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়ার বিদ্যাধরী নদীর পাশে বাসাবাটী গ্রামে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাউল ফকিররা এসে সমবেত হন।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে এই লোকসংস্কৃতি মেলা(Folklore Fair)। মেলার উদ্বোধনে আসেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা পরিষদের পূর্তের কর্মাধ্যক্ষ নারায়ন গোস্বামী, হাড়োয়ার বিধায়ক হাজী নুরুল ইসলাম, উদ্যোক্তা নুরুল ইসলাম, শফিক আহমেদ ও বিশিষ্ট শিক্ষক মার্কন্ডেয় দাস সহ বিশিষ্ট শিল্পীরা। আগামী ৩০ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা।
আরও পড়ুন : স্টেন্ট বসানোর পর কেমন আছেন সৌরভ? কবে ছুটি তাঁর?
তিনদিন ধরে এই মেলায়(Folklore Fair) উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের নানা প্রান্তের বাউল ফকিররা। চলবে বাউল গানবাজনা। গানের মূল সুরেই থাকবে সম্প্রীতির বার্তা। তবে করোনা আবহে কী করে জনস্রোত আটকানো যাবে তা নিয়ে বিশেষ চিন্তা করেননি মেলা উদ্যোক্তারা। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে গ্রামের মধ্যে এই মেলায় বিশেষ ভিড় হবেনা।
আরও পড়ুন : বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত গ্রামের ‘প্রিয়’ হনুমান, সাড়ম্বরে শ্রাদ্ধ পালন গ্রামবাসীর
উদ্যোক্তা নুরুল ইসলাম জানান, ‘লালন ফকিরের সংস্কৃতি মানুষের মধ্যে মনে প্রাণে মিশে আছে। এই মাটির গন্ধ ভারতবর্ষ থেকে বিদেশে পৌঁছে দিতে হবে। জাতপাতের ঊর্ধ্বে উঠে সম্প্রীতির মধ্যে ঐক্যের প্রসারই আমাদের লক্ষ্য।’