Couple Body Recover: হোটেলের ঘরে ঝুলছে যুগল, গলায় মালা; পাশে পড়ে সিঁদুরের কৌটো
গলায় ফুলের মালা পরা অবস্থায় যুবক-যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তিনকোনিয়া এলাকার একটি হোটেলের ঘর থেকে। একটি স্যুইসাইসড নোট এবং সিঁদুর কৌটো উদ্ধার হয়েছে।
বর্ধমান: গলায় ফুলের মালা পরা অবস্থায় যুবক-যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হোটেল থেকে। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের তিনকোনিয়া এলাকার একটি হোটেলে। তারপর পুলিশ এসে যুগলের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। হোটেলের ওই ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সিঁদুর কৌটোও। তাহলে কি যুবক-যুবতী হোটেলে বিয়ে করেছেন? এমন প্রশ্নও উঠছে। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ জানায়, মৃত যুগলের নাম মহাদেব মাঝি (২০) ও প্রিয়াঙ্কা মিত্র (১৯)। দু’জনেরই বাড়ি বাঁকুড়া জেলায়। তবে বর্তমানে প্রিয়াঙ্কা মিত্র বর্ধমান শহরের ইছলাবাদ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বাড়ি ভাড়া থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। গলায় ফুলের মালা পরা অবস্থায় দুজনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে তিনকোনিয়া এলাকার একটি হোটেলের ঘর থেকে। একটি স্যুইসাইসড নোট এবং সিঁদুর কৌটো উদ্ধার হয়েছে। দুজনে ওই হোটেলের ঘরে মালাবদল করে বিয়ে করে আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তবে কেন তাঁরা এভাবে আত্মঘাতী হবেন তা স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএসপি ট্রাফিক রাকেশ চৌধুরী। পুলিশকে অনেক দেরিতে খবর দেওয়া হয়েছে বলে হোটেল কর্তৃপক্ষের দিকেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
হোটেলকর্মী তাপস কান্তি মণ্ডল বলেন, “শনিবার বিকেলে মহাদেব মাঝি হোটেলের চারতলায় একটি ঘর ভাড়া নেন। রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ এক যুবতীকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলে ঢোকেন। হোটেলকর্মীরা মেয়েটির পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে মহাদেব মাঝি জানান, এটি তাঁর বোন হয়। এক্ষুনি তাঁরা চেক আউট করবেন।” কিন্তু, তাঁরা ঘরের ভিতর ঢোকার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও না বেরোনোয় হোটেলকর্মীদের সন্দেহ হয়। তারপর বিকালের দিকে তাঁরা ডাকাডাকি করলেও ভিতর থেকে কোনও সাড়া পাননি। তখন হোটেলের তরফে বর্ধমান থানায় খবর দেওয়া হয়। তারপর বর্ধমান থানার পুলিশ হোটেলে গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভিতর ঢুকতেই সকলের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায়! বরমাল্য পরা অবস্থায় সিলিং থেকে যুবক-যুবতীকে ঝুলতে দেখা যায়। এরপর পুলিশ দেহ দুটি উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পুলিশ থেকে হোটেলকর্মীদের অনুমান, যুবক-যুবতীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে এদিন হোটেলের ঘরেই মালাবদল করে বিয়ে করেছেন। পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জন্যই যুগল আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন বলে প্রাথমিকভাবে মেনে নিচ্ছেন তাঁরা। তদন্তের পরই গোটা বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন ডিএসপি ট্রাফিক রাকেশ চৌধুরী। কেন এতক্ষণ পর হোটেল থেকে থানায় খবর দেওয়া হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।