Iraq: সেনার গুলিতে হত ২৩ বিক্ষোভকারী, আহত ৩০০, ধর্মগুরু রাজনীতি ছাড়তেই জ্বলছে ইরাক

Iraq: ইরাকের এক প্রভাবশালী শিয়া ধর্মগুরু রাজনীতি থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে সরকারি বাহিনী এবং ওই ধর্মগুরুর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বেধেছে। সোমবার থেকে এখনও পর্যন্ত সেনার গুলিতে প্রাণ গিয়েছে ২৩ জন বিক্ষোভকারীর।

Iraq: সেনার গুলিতে হত ২৩ বিক্ষোভকারী, আহত ৩০০, ধর্মগুরু রাজনীতি ছাড়তেই জ্বলছে ইরাক
সরকারি প্রাসাদে ধুন্ধুমার, রক্ষীদের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষ বিক্ষোভকারীদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2022 | 5:00 PM

বাগদাদ: সোমবারই ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া ধর্মগুরু মোকতাদা সদর রাজনীতি থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। আর তারপরই তাঁর অনুগামীরা শয়ে শয়ে হানা দিয়েছিলেন সরকারি প্রাসাদে। যা থেকে সদর-পন্থী এবং ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল। বাগদাদের সেই সংঘর্ষের সোমবারই অন্তত ১৫ জন বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছিলেন। মঙ্গলবারও সেই সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। ইরাকি চিকিত্সকদের দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩-এ। প্রত্যেকেই মোকদাতা সদরের সমর্থক, মৃত্যু হয়েছে সেনার গুলিতে। সূত্রের খবর, আরও অন্তত ৩৮০ জন এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বলে।

সদরের সমর্থক এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে এই সংঘর্ষ সোমবার রাতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রাতে পরিস্থিতিও শান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল হতেই ফের অবস্থা আগের জায়গায় ফিরে গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গোটা বাগদাদ শহর জুড়ে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র এবং রকেট নিক্ষেপের শব্দ প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। এমনকি, উচ্চ-সুরক্ষিত গ্রিন জ়োন, যেখানে বিভিন্ন সরকারি ভবন এবং দূতাবাসগুলি অবস্থিত, সেখানেও পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ।

সরকারি প্রাসাদের মাথায় বিক্ষোভকারীরা

সোমবার, প্রায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল বাগদাদ। ধর্মগুরু মোকতাদা আল-সদরের অনুগামীদের আটকাতে সরকারি প্রাসাদের বাইরের সিমেন্টের বাধা স্থাপন করা হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা দড়ি দিয়ে টেনে সেই বাধা ফেলে দেয় এবং প্রাসাদের মূল ফটকও ভেঙ্গে দেয়। বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী ঢুকে পড়েন প্রাসাদের ভিতরেও। তাঁদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন প্রাসাদের রক্ষীরা। মোকতাদা আল-সদরের কয়েকজন সমর্থককে ইরাকের প্রাসাদের ছাদে উঠে জাতীয় পতাকাও নাড়তে দেখা গিয়েছে।

এরপরই ইরাকের সামরিক বাহিনী দেশব্যাপী কারফিউ ঘোষণা করে। এই তীব্র হিংসাত্মক বিক্ষোভের মধ্যে মন্ত্রিসভার অধিবেশন স্থগিত করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল কধিমি। নামানো হয় দাঙ্গা দনকারী পুলিশ। তারা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কিন্তু, অন্ধকার নামতেই সারায়া সালাম নামে আল-সদরের সমর্থক একটি যোদ্ধা গোষ্ঠী ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর উপর হামলা চালায়। গ্রিন জ়োনের ভিতরেই কয়েক ঘন্টা ধরে সংঘর্ষ চলে, তারপর সব শান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, মঙ্গলবার সকাল হতেই ফের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।