Food Crisis: পাকিস্তানে খাদ্য সঙ্কট চরমে, ১৫ কেজি ময়দার দাম ২ হাজার টাকা

লাহোরের খোলা বাজারে ১৫ কেজি ময়দার প্যাকেটের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৫০ টাকা। দু-সপ্তাহের মধ্যেই সেই দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩০০ টাকা। আর বর্তমানে লাহোর শহরে খোলা বাজারে ১৫ কেজি ময়দার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২,০৫০ টাকায়।

Food Crisis: পাকিস্তানে খাদ্য সঙ্কট চরমে, ১৫ কেজি ময়দার দাম ২ হাজার টাকা
পাকিস্তানে খাদ্য সঙ্কট তুঙ্গে। ফাইল ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 06, 2023 | 7:38 PM

লাহোর: দেউলিয়ার পথে পাকিস্তান! জ্বালানি সংকট আগেই দেখা দিয়েছিল। এবার খাদ্য সংকট শুরু হল! পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান খাদ্য হল রুটি বা চাপাটি, যা ময়দা দিয়ে হয়। কিন্তু, বর্তমানে বাজারে অমিল ময়দা। ১৫ কেজি ময়দার প্যাকেট বিকোচ্ছে ২ হাজারেরও বেশি দামে। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনই পরিস্থিতি পাকিস্তানের অন্যতম শহর, লাহোরের। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

জানা গিয়েছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লাহোরের বাজারে ময়দার দাম ঊর্ধ্বমুখী। সাম্প্রতিককালে লাহোরের খোলা বাজারে ১৫ কেজি ময়দার প্যাকেটের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৫০ টাকা। দু-সপ্তাহের মধ্যেই সেই দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৩০০ টাকা। আর বর্তমানে লাহোর শহরে খোলা বাজারে ১৫ কেজি ময়দার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ২,০৫০ টাকায়। যা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগের।

কেবল লাহোর নয়, দেশের রাজধানী ইসলামাবাদ এবং আরেক বড় শহর রাওয়ালপিণ্ডিতেও একই অবস্থা। এই দুই শহরে গত দু-দিনে তিনবার ময়দার দাম বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় ময়দার জোগান কমে যাওয়ার ফলেই দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে ব্যবসায়ী থেকে অর্থনীতিবিদদের দাবি। কিন্তু, হঠাৎ কয়ে ময়দার জোগান এতটা কমে গেল কেন? বিশেষত, যে দেশের অন্যতম প্রধান কৃষিজ ফসল গম, সেখানে ময়দার এরকম আকাল হল কেন?- এমন প্রশ্নও উঠছে।

যদিও সমগ্র লাহোর শহরজুড়ে ময়দার হাহাকার এবং ক্রমাগত দাম বৃদ্ধির জন্য খাদ্য দফতর এবং ময়দা মিলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠছে। খাদ্য দফতর এবং ময়দা মিলের অনিয়মের ফলেই দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ। কিন্তু, অনিয়মের জন্য এতটা দাম কী ভাবে বাড়তে পারে, সরকার কী করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কী গম বা ময়দা আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না? এমন প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে রান্নার গ্যাসের সংকটের যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে, তা দেখে শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরা হচ্ছে রান্নার গ্যাস। যেটিকে চলন্ত বোমা তকমা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার রাত সাড়ে ৮টায় মার্কেট ও শপিংমলের আলো নিভিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ। তিনি স্পষ্টত জানিয়েছেন, শক্তি সংরক্ষণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন। অর্থাৎ পাকিস্তানে বিদ্যুৎ সঙ্কট যে চরমে, তারই নজির এগুলি। এবার প্রাথমিক খাদ্যের ভাঁড়ারেও টান পড়তে শুরু করেছে।