Scotland: নাস্তিকে ছেয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ, নিলামে উঠল প্রায় শ’খানেক গির্জা

Scotland: দুনিয়ার যেখানে যত প্রেসবিটেরিয়ান মতে বিশ্বাসী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। তাঁদের সবার কাছেই চার্চ অফ স্কটল্যান্ডের একটা আলাদা মান্যতা আছে। চার্চ অফ স্কটল্যান্ডের অধীনে এখন ওদেশে প্রায় ৪ হাজার চার্চ রয়েছে।

Scotland: নাস্তিকে ছেয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ, নিলামে উঠল প্রায় শ’খানেক গির্জা
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Updated on: Jun 30, 2024 | 4:17 PM

কলকাতা: ভগবানেরও টাকার অভাব? তাই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে দেবালয়? শুনে অদ্ভুত লাগছে তো! স্কটল্যান্ডে বিক্রির জন্য নিলামে উঠছে প্রায় শ’খানেক গির্জা। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি চার্চ প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো। সূত্রের খবর, টাকার অভাবে রোজকার কাজকর্ম আর চালাতে পারছে না ঐতিহাসিক প্রেসবিটেরিয়ান চার্চ অফ স্কটল্যান্ড। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে গির্জা বিক্রির। প্রসঙ্গত, প্রেসবিটেরিয়ানরা হলেন প্রোটেস্ট্যান্টদের একটা শাখা। ভ্যাটিকানের সঙ্গে এদের কোনও সম্পর্ক নেই। ক্যাথলিক চার্চের মতো প্রেসবিটেরিয়ান চার্চে কোনও আর্চবিশপ থাকেন না। কারণ, প্রেসবিটেরিয়ানরা ক্যাথলিক Hierarchy-তে বিশ্বাস করেন না। বদলে একটা কাউন্সিলের অধীনে চার্চের যাবতীয় কাজকর্ম চলে। ১৫৬০ সালে প্রোটেস্ট্যান্ট রিফর্মার জন নক্স স্কটল্যান্ডে প্রথম প্রেসবিটেরিয়ান চার্চ স্থাপন করেন। কালক্রমে চার্চের সংখ্যা বাড়তে থাকে। তৈরি হয় চার্চ অফ স্কটল্যান্ড নামে একটা বৃহত্‍ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। 

দুনিয়ার যেখানে যত প্রেসবিটেরিয়ান মতে বিশ্বাসী খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। তাঁদের সবার কাছেই চার্চ অফ স্কটল্যান্ডের একটা আলাদা মান্যতা আছে। চার্চ অফ স্কটল্যান্ডের অধীনে এখন ওদেশে প্রায় ৪ হাজার চার্চ রয়েছে। তবে রেনেসাঁর সময় গথিক স্থাপত্যে তৈরি চার্চগুলোর মর্যাদা অন্যরকম। বহু ইতিহাসের সাক্ষী এরকম সব চার্চই এবার আর্থিক সঙ্কটে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। গির্জা কর্তৃপক্ষ বিক্রির নোটিসও বের করে দিয়েছেন। কিন্তু আর্থিক সঙ্কটের কারণ কী? ওই দেশের সাম্প্রতিক সেন্সাস রিপোর্ট বলছে প্রায় ৫২ শতাংশ স্কটিশ নাগরিক এখন নাস্তিক। ২০১১ সালে যা ছিল ৩৬ শতাংশ। 

এই খবরটিও পড়ুন

সোজা কথায় বছর বছর স্কটল্যান্ডে নাস্তিকের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে চার্চ অফ স্কটল্যান্ডের ফলোয়ারের সংখ্যাও ক্রমশ কমছে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আগের মতো আর ডোনেশন আসছে না। ফলে চার্চগুলোও আর রক্ষণাবেক্ষণের খরচ চালাতে পারছে না। গির্জা কর্তৃপক্ষ আবার বলছে গত দু-দশকে প্রিস্টের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে। আগের মতো আর ধর্ম যাজকের কাজ করার লোক পাওয়া যাচ্ছে না বলেও শোনা যাচ্ছে। এ কারণেও অনেক চার্চ আর চালানো যাচ্ছে না। আপাতত চার্চ অফ স্কটল্যান্ড জানিয়েছে শ’খানেক গির্জা বিক্রি করে যে টাকা আসবে সেই টাকা দিয়ে পুরনো গির্জাগুলি সংস্কার করা হবে।