Bangladesh: ‘ভারত অস্বস্তিতে পড়বে…’, এমন কী করতে চলেছে বাংলাদেশের নতুন সরকার?
Bangladesh: শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ক্রমে তৈরি হচ্ছে মামলার পাহাড়। এই অবস্থায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ভারতের কাছে তাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে প্রত্যর্পণের দাবি জানাবে? কী জানালেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন?
ঢাকা: হত্যা, অপহরণ, গণহত্যা, শিশু হত্যা – শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ক্রমে তৈরি হচ্ছে মামলার পাহাড়। এই অবস্থায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি ভারতের কাছে তাদের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে প্রত্যর্পণের দাবি জানাবে? বৃহস্পতিবার (১৫ অগস্ট), বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন এই বিষয়ে তিনি আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে পারবেন না। তবে, এটা ঠিক যে, হাসিনার বিরুদ্ধে অনেক অনেক মামলা হচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রক যদি তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে তাঁদের শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের সঙ্গে কথা বলতে হবে তাঁদের।
আর সেটা ভারতের জন্য এক বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি করবে বলে মন্তব্য করেছেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, “এটা ভারত সরকারের জন্য এক বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। ভারতও তা জানে। আমি নিশ্চিত তারা এর যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।” বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিদেশ উপদেষ্টার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে, এখনও পর্যন্ত ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া আসেনি।
তবে, হাসিনার জন্য তাঁর দেশের হাওয়া ক্রমে খারাপ হচ্ছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সেলের উপ-পরিচালক, আতাউর রহমান জানিয়েছেন, কোটা বিরোধী বিক্ষোভের সময় হত্যা, নির্যাতন ও গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা-সহ দশজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের মধ্যে অন্তত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিরা সকলে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে আছেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে হাসিনা খুব বেশি বিবৃতি দেননি। তার মধ্যে, তিনি বিক্ষোভ চলাকালীন যে সকল হত্যা ও ভাঙচুর হয়েছে, তার তদন্ত দাবি করেছেন। শেখ মুজিবের বাসভবন তথা জাদুঘর ভাঙার প্রেক্ষিতে দেশবাসীর কাছে বিচার চেয়েছেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে যে একের পর এক অভিযোগ উঠছে, মামলা দায়ের হচ্ছে, সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়েও মন্তব্য করেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা। ভারত ও অন্যান্য দেশকে মায়ানমার থেকে আরও বেশি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কারণ, বাংলাদেশের আর রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু গ্রহণ করার ক্ষমতা নেই। তৌহিদ হোসেন বলেন, “অন্যান্য দেশকে মায়ানমারের আরাকান আর্মি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর উপর চাপ দিতে হবে। তাদের জন্মভূমি রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের উপর যেন হামলা না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। আন্তর্জাতিক মহলকে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে, যাতে তারা (রোহিঙ্গা) নিজেদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারে।”