Hilsa: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ধরছিল ইলিশ! বাংলাদেশে গ্রেফতার ৩০ জেলে
Bangladesh News: গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পদ্মার বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালায় শিবচর থানা ও নৌ পুলিশের একটি বিশেষ দল।
বাংলাদেশ: বারবার নিষেধাজ্ঞা। সচেতনতার পাঠ পড়িয়েও যেন কিচ্ছুই হচ্ছে না। প্রজননকালে বেআইনিভাবে ইলিশ (Hilsa) ধরা যেন কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। এবার আরও কড়া প্রশাসন। বাংলাদেশের (Bangladesh) মাদারীপুরে শিবচরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ (Hilsa) ধরার অভিযোগ গ্রেফতার ২৭ জেলে। বাংলাদেশের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের প্রত্যেককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
সূত্রের খবর, গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পদ্মার বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালায় শিবচর থানা ও নৌ পুলিশের একটি বিশেষ দল। ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান হিসেবে এই অভিযান চালায় তারা। মোট ৩০ জন জেলেকে আটক করে পুলিশের বিশেষ দলটি। আটক হওয়া জেলেদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ২২ হাজার ৭০০ মিটার কারেন্ট জাল ও ১৬ কেজি মা ইলিশ।
পরে বিকেল নাগাদ আটকদের মধ্যে ২৭ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তোলা হলে বিচারক ও শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রকিবুল হাসান তাদের এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। বাকি তিনজনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়। উদ্ধার হওয়া ওই কারেন্ট জালগুলিকে পুড়িয়ে ফেলা হয়। পাশাপাশি ইলিশগুলিকে এতিমখানায় বিতরণ করে দেওয়া হয়।
ঘটনার বিষযে রকিবুল হাসান জানিয়েছেন, ইলিশের প্রজননের সময় জেলেদেরকে মাছ ধরতে বারণ করা হয়। এরপরও অনেকে কথা শোনেন না। তাই নদীতে তল্লাশি চালানো হয়।
উল্লেখ্য, বর্ষাকাল হল ইলিশের প্রজননের ক্ষেত্রে ভালো সময়। বাংলাদেশের জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে খবর, প্রতিবছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১৫ থেকে ১৭ দিনসহ মোট ২২ দিন ইলিশের প্রজনন সময়। এই সময়ে সমুদ্র থেকে প্রচুর মা ইলিশ লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে এসে ডিম পাড়ে। প্রায় একটি বড় ইলিশ ২৩ লাখ পর্যন্ত ডিম দিতে সক্ষম। তাই বেশি ইলিশ উৎপাদন করতে নির্বিঘ্নে যাতে মা ইলুশ ডিম ছাড়তে পারে সেই কারণে ইলিশসহ সব প্রজাতির মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তাই ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর ইলিশ ধরা বন্ধ।
লক্ষ্মিপুরেও একই নিয়ম বললৎ করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের রামগতি থেকে চাঁদপুরের ষাটনল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারের মতো মেঘনা নদীর এলাকায় মাছ ধরা যাবে না। এ সময় মাছ শিকার, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এই ২২ দিন জেলেরা যাতে কোনও সমস্যার সন্মুখীন না হয় সেই কারণে বাংলাদেশ সরকার তাদের ভালো মানের চাল বিরতণ করেছে। জানা গিয়েছে জেলায় মোট ৪৩ হাজার ৪৭২ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে। এর মধ্যে প্রথমদিন প্রায় ৪০ হাজার জেলেদের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।