Bangladesh Durga Puja: আগুনে পোড়া তিনশ’ শাড়ির মণ্ডপ! ইদের কান্না মুছিয়ে দিল দুর্গাপুজো

Bangladesh Durga Puja: সাহা পাড়া পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, সুমন সাহা জানিয়েছেন, মণ্ডপ সজ্জায় অন্তত ৩০০ শাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। এর জন্য বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের থেকে তিন লক্ষ টাকার পোড়া কাপড় কিনেছেন তাঁরা। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সহায়তা করতে চেয়েছিলেন তাঁরা।

Bangladesh Durga Puja: আগুনে পোড়া তিনশ' শাড়ির মণ্ডপ! ইদের কান্না মুছিয়ে দিল দুর্গাপুজো
সাহাপাড়া পুজো কমিটির প্যান্ডেল সেজে উঠেছে পুড়ে যাওয়া শাড়ি দিয়েImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 22, 2023 | 7:26 PM

ঢাকা: পুড়ে যাওয়া শাড়ি দিয়েই সাজানো হলো দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল। আর এর মাধ্যমে মিলে মিশে গেল ইদ এবং পুজো। ইদের মুখে সর্বস্ব খুইয়েছিলেন যে সকল ব্যবসায়ীরা, তাঁদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফোটালো দুর্গাপুজো। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরের পাশের জেলা নারায়ণগঞ্জে তৈরি হয়েছে এই ভিন্ন ধর্মী পুজোমণ্ডপ।

চলতি বছর ইদের আগে, রমজান মাসে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লেগেছিল। ঢাকার এক পাইকারি পোশাকের বাজার এই বঙ্গ বাজার। প্রায় ১২ হাজার দোকান সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গিয়েছিল। সর্বস্ব খুইয়ে পথে বসেছিলেন প্রায় ৪,০০০ ব্যবসায়ী। এবার সেই আগুনে পুড়ে যাওয়া শাড়িগুলি দিয়েই দুর্গা পুজোর প্যান্ডেল সাজাল সাহাপাড়া পূজা কমিটি।

২০ বছর আগে এই পুজোর প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। তারপর থেকে প্রতিবছরই বিভিন্ন থিমে পূজামণ্ডপ সাজায় সাহাপাড়া পূজা কমিটি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সুতা, বাঁশ, মাটির পাত্র, কাগজের তৈরি ফুল ইত্যাদির মতো বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব ও সহজে পচনশীল প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে মণ্ডপ সাজিয়েছে তারা। এই বছর মণ্ডপ তৈরির প্রধান উপাদান, বঙ্গবাজারের পুড়ে যাওয়া শাড়ি।

সাহা পাড়া পূজা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, সুমন সাহা জানিয়েছেন, মণ্ডপ সজ্জায় অন্তত ৩০০ শাড়ি ব্যবহার করা হয়েছে। এর জন্য বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের থেকে তিন লক্ষ টাকার পোড়া কাপড় কিনেছেন তাঁরা। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সহায়তা করতে চেয়েছিলেন তাঁরা।

পাটকাঠি ও শাড়ি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে নারীর অবয়ব

মণ্ডপটি তৈরি করেছেন শিল্পী রোহান খান ফরহাদ এবং তাঁর সহযোগীরা। তিনি জানিয়েছেন, মন্ডপের সাজসজ্জায় তিনি প্রাধান্য দিয়েছেন নারীদের। পাট-খড় ও শাড়ি ব্যবহার করে মণ্ডপ জুড়ে, বিভিন্ন বয়সী নারীর অবয়ব তৈরি করা হয়েছে। সমাজের নিপীড়িত ও অবহেলিত মহিলাদের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ তৈরি করতেই, সজ্জায় নারীকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। মণ্ডপ সজ্জায় ব্যবহৃত শাড়িগুলির প্রতিটিরই বিভিন্ন জায়গায় পোড়া ছিল। সেগুলিকে মাপমতো কেটে নিয়ে নান্দনিক রূপ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ দূষণ রোধের বার্তা দিতে, মণ্ডপ সজ্জার কাজে প্লাস্টিক বা প্ল্যাস্টিকজাত কোনও বস্তু ব্যবহার করা হয়নি।

সাহাপাড়া পূজা কমিটি এই মণ্ডপ সাড়া ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশে। ঢাকার পুজোগুলি ছেড়ে, বহু মানুষ নায়ারণগঞ্জে পাড়ি দিচ্ছেন শুধুমাত্র এই পোড়া শাড়ির প্যান্ডেল দেখার জন্য। তাদের এই ব্যতিক্রমী মানবিক উদ্যোগ প্রশংসা পেয়েছে সমাজের সকল অংশের।