Hilsa: ২ মাসের অপেক্ষা শেষ; ইলিশ ধরতে সাগর আর নদীতে মধ্যরাতেই জাল ফেলবে লাখো জেলে
এদিন মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই নৌকা নিয়ে পদ্মায় এবং ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দেবেন দেশের উপকূলীয় জেলার প্রায় ২০ লক্ষ জেলে। ইতিমধ্যে প্রস্তুত ট্রলার সহ নানা ধরনের নৌকা।
ঢাকা: মাছে-ভাতে বাঙালি। আর সেই মাছ যদি হয় ইলিশ হয়, তাহলে তো কথাই নেই। বাঙালির আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইলিশ। জলের রুপোলি শস্যের প্রজননের স্বার্থেই দীর্ঘ দু-মাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। অবশেষে রবিবার মধ্যরাতেই সেই নিষেধাজ্ঞার দিন শেষ হচ্ছে। দুই মাসের প্রতীক্ষা শেষে আজ মধ্যরাতেই ইলিশ ধরতে জাল নিয়ে সাগর ও নদীতে পাড়ি দেবেন বাংলাদেশের কমপক্ষে ২০ লক্ষ মৎস্যজীবী।
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হল ইলিশ। এই মাছ রক্ষায় বছরের নির্দিষ্ট দু-মাস ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশ সরকার। এবছরও মার্চ ও এপ্রিল দু-মাস নিষেধাজ্ঞা ছিল। অবশেষে এদিন মধ্যরাতে সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই নৌকা নিয়ে পদ্মায় এবং ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পাড়ি দেবেন দেশের উপকূলীয় জেলার প্রায় ২০ লক্ষ জেলে। ইতিমধ্যে প্রস্তুত ট্রলার সহ নানা ধরনের নৌকা। এখন নদী, সাগরে নামতে মুখিয়ে আছেন মৎস্যজীবীরা। দীর্ঘ দু-মাস কোনক্রমে সংসার চালানোর পর যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে চলেছেন তাঁরা।
এবছর ঝাঁকে-ঝাঁকে ইলিশ জালে ধরা পড়বে বলে আশাবাদী মৎস্য কর্মকর্তারা। এক মৎস্য আধিকারিক জানান, জাটকা সংরক্ষণে নিষেধাজ্ঞা প্রায় প্রতিটি জেলায় সফল ভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে এ বছর ইলিশের উৎপাদন ব্যাপকভাবে বাড়বে। বাংলাদেশের সাগর উপকূল এবং পদ্মা, মেঘনা সহ নদীগুলিতে মিলবে ইলিশ। গত দু-মাসে নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে মৎস্য বিভাগ অসংখ্য অভিযান করে এবং ৮৬৬ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে জেল অথবা জরিমানা করা হয় বলেও তিনি জানিয়েছেন।