Bangladesh: ঢাক বাজছে ঢাকায়, প্রতিমায় শেষ ছোঁয়া দিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

Bangladesh Durga Puja 2023: দিন রাত এক করে কাজ করে চলেছেন মৃৎ শিল্পীরা। তবে তাদের আক্ষেপ যাচ্ছে না। এই বছর বাংলাদেশে পূজা মন্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, সারা দেশে ৩২,৪০৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজোর প্রস্তুতি চলছে। তবে, বাড়েনি মৃৎশিল্পীদের মজুরি।

Bangladesh: ঢাক বাজছে ঢাকায়, প্রতিমায় শেষ ছোঁয়া দিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা
শেষ মুহূর্তের রং-তুলির ছোঁয়া দিচ্ছেন মৃৎশিল্পীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 18, 2023 | 7:01 AM

ঢাকা: শারদীয় উৎসবে মেতে উঠতে প্রস্তুত পুরো বাংলাদেশ। দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা-সহ বাংলাদেশের জেলায় জেলায় এখন সাজ সাজ রব। মন্ডপে মন্ডপে এখন চলছে শেষ মূর্হুতের প্রতিমা তৈরী ও রং তুলির কাজ।

দিন রাত এক করে কাজ করে চলেছেন মৃৎ শিল্পীরা। তবে তাদের আক্ষেপ যাচ্ছে না। এই বছর বাংলাদেশে পূজা মন্ডপের সংখ্যা বেড়েছে। পূজা উদযাপন পরিষদ জানিয়েছে, সারা দেশে ৩২,৪০৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজোর প্রস্তুতি চলছে। তবে, বাড়েনি মৃৎশিল্পীদের মজুরি। এদিকে, প্রতিমা তৈরীর উপকরনের দামও গিয়েছে বেড়ে। ফলে, লাভের মুখ দেখছেন না তাঁরা।

অবশ্য, পুজোর সংখ্যা বাড়ায়, মৃৎশিল্পীদের চাহিদাও বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে পুজোর উপকরণের দোকানগুলিতে কেনাবেচা। প্রতিটি মন্ডপের আয়োজকরাই জানিয়েছেন, মূল্যবৃদ্ধির কারণে পুজো আয়োজনের ব্যয়ও বেড়েছে ।

এদিকে, পুলিশের দাবি, প্রতিটি পূজা মন্ডপে প্রতিমা তৈরী ও বিসর্জন পর্যন্ত অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মহম্মদ লুৎফর রহমান জানিয়েছেন, উৎসবমূখর পরিবেশে নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গা পূজা পালনের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। পুজো উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক, লিটন পন্ডিতও জানিয়েছেন, দুর্গা পুজোয় প্রতি বছরই প্রতিটি জেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে। এই বছরও তার ব্যতিক্রম হবে না।

এপাড় বাংলার মতো, ওই পাড়েও ইতিমধ্যেই মন্ডপে মন্ডপে প্রতীমা দর্শন শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে, পুজোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২০ অক্টোবর, মহাষষ্ঠীর দিন। তার আগে মহালয়ার দিন ভোর ৬টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে চণ্ডীপাঠ করে দেবীকে আহ্বান জানানো হয়। ওইদিন সকাল ৯টায় ত্রিভঙ্গচরণ ব্রহ্মচারীর চণ্ডীপাঠের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে অর্চনা এবং তারপর বিশেষ পূজারও আয়োজন করা হয়েছিল। মহালয়ার মূল আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে ঘট স্থাপন করে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজাও করা হয়।