Bangladesh: লক্ষ্য় ২০২৪, বিএনপির গণ অবস্থানে লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত
Bangladesh opposition BNP holds multiple rallies: ২০২৪-এ বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এক বছর আগে থেকে ঝাঁপালো সেই দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি।
ঢাকা: আসছে ২০২৪। ফের বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এক বছর আগে থেকে ঝাঁপালো সেই দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বা বিএনপি। নির্দল সরকারের অধীনে নির্বাচন-সহ বিভিন্ন দাবি নিয়ে বুধবার (১১ জানুয়ারি) ঢাকা-সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করলো তারা। বিএনপি এবং তাদের শরিক দলের লক্ষ লক্ষ কর্মী-সমর্থক এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়। সবথেকে বড় জমায়েতটি হয় বিএনপি-র ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের সামনে। এই জমায়েতেই দেশব্যাপী আন্দোলনের নয়া কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এদিন প্রথমে বাংলাদেশ জুড়ে মিছিল করে বিএনপি-র নেতা-কর্মীরা। তারপর ঢাকা-সহ সমস্ত বিভাগীয় শহরগুলিতে গণ অবস্থানে বসেন তাঁরা। গণ অবস্থান থেকে তাঁরা দাবি তোলেন, নির্বাচনের আগে বর্তমান আওয়ামি লিগ সরকারকে পদত্যাগ করে এক নির্দল ভারপ্রাপ্ত সরকারের হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে হবে। সেই সরকারের তত্ত্বাবধানেই করতে হবে নির্বাচন। পাশাপাশি বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে নতুন করে কমিশন গঠন করার দাবিও তুলেছে বিএনপি। বিএনপির প্রধান নেতা মির্জা ফখরুল বলেন, “আন্দোলনের মাধ্যমেই বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।”
গণঅবস্থান শেষে এদিন যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে আগামী কয়েক দিনে পরপর রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে এগোতে চলেছে বিএনপি ও শরিক দলগুলি। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১৬ জানুয়ারি ১০টি বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি হবে। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা তথা বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯ জানুয়ারি পৃথক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিএনপি। ২৫ জানুয়ারি ‘বাকশাল দিবসে’ কালো পতাকা প্রদর্শন, মানববন্ধন, গণ সমাবেশ করা হবে। পরবর্তী কর্মসূচি হবে ২৬ জানুয়ারি। ওই দিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন করার পরিকল্পনা করছে তারা। তবে এই বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত রূপ পায়নি।
বিএনপি-র দাবি, শাসক দল আওয়ামি লিগ বর্তমানে তাদের রাজনৈতিক ঐতিহ্য হারিয়েছে। তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পুলিশ ও আমলাদের উপর নির্ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছেন শেখ হাসিনা। তবে বাংলাদেশের জনগণ তাদের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। গত দুই নির্বাচনেই, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে আওয়ামি লিগ, এমনই দাবি বিএনপি-র। সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা, সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার ফেরানোর জন্য তারা ১০ দফা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।