Bhola Fish: সূর্যের আলো ফুটতেই জালে পড়েছিল টান, তুলে যা পেলেন, তাতে বছরভর পায়ের উপর পা তুলে কাটাবেন মাসুম
Bangladesh News: গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগর থেকে ধরা পড়ে এই বিশালাকার মাছটি। দুবলার চরে মাছটিকে প্রথমে ধরে আনা হয়।
ঢাকা: দিন কয়েক ধরে জালে ভাল মাছ উঠছিল না। সেই কারণে সূর্যের আলো ফোটার আগেই বেরিয়ে পড়েছিলেন নৌকা ও জাল নিয়ে। ভোর ছটা নাগাদ হঠাৎ জালে পড়ল টান। নৌকা নড়ে উঠতেই আন্দাজ করেছিলেন, ভারী কিছু একটা আটকেছে। একা টানাটানি করেও তোলা যাচ্ছিল না সেই জাল। সহকারীর সাহায্য নিয়ে জল থেকে জাল তুলতেই দেখলেন, জালে আটকে রয়েছে পেল্লাই মাপের একটি ভোলা মাছ(Bhola Fish)। ওই মাছ দেখেই বুঝে গিয়েছিলেন, এবার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে চলেছে। সেই জন্য়ই আর সময় নষ্ট না করে নৌকা নিয়ে চলে এলেন তীরে। পাইকারি বাজারে নিয়ে যেতেই সেই মাছের দাম উঠল ৮ লক্ষ টাকারও বেশি। ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের (Bangladesh) খুলনায়। সেখানের এক জেলেই ধরেছেন এই বিশাল মাপের ভোলা মাছ, যার ওজন ২৩ কেজি ৬৮০ গ্রাম।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গোপসাগর থেকে ধরা পড়ে এই বিশালাকার মাছটি। দুবলার চরে মাছটিকে প্রথমে ধরে আনা হয়। পরে তা খুলনার রূপসার পাইকারি মাছ বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মাছটির প্রতি কেজি দাম ওঠে ৪০ হাজার টাকা। অর্থাৎ ২৩ কেজির হিসাবে ৮ লক্ষ টাকারও বেশি দর ওঠে। তবে মৎসজীবী মাসুম বিল্লাহের মতে, এই মাছটির দাম আরও বেশি হওয়া উচিত। সেই কারণে তিনি পাইকারি বাজারে মাছটি বিক্রি করেননি, বরং চট্টগ্রামের মাছ বাজারে এই মাছটি বিক্রির জন্য পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন।
জানা গিয়েছে, মাসুম বিল্লাহ মাছটি ধরলেও, তাঁর সহকারী মহম্মদ রহমত মাছটিকে রূপসার বাজারে বিক্রি করতে আসেন। তিনি জানান, মাসুমের বাড়ি সাতক্ষীরার কুড়িকাহুনিয়া গ্রামে। গত ১০ জানুয়ারি মাসুম ও রহমত মাছ ধরতে বঙ্গোপসাগরে যান। সেখানেই ভোর ৬টা নাগাদ বিশালাকার ভোলা মাছটি জালে ধরা পড়ে। এরপরই তারা নৌকা নিয়ে তড়িঘড়ি পারে ফিরে আসেন। দুবলার চরে মনমতো দাম না পাওয়ায়, মাছটিকে নিয়ে রূপসার বাজারে নিয়ে যান রহমত। সেখানেই এই দুষ্প্রাপ্য মাছটিকে দেখতে ভিড় জমান আট থেকে আশি-সকলে।
উল্লেখ্য, ভোলা মাছের আকার যত বড় হয়, ততই দাম বাড়়তে থাকে। এই মাছের দাম আরও বেশি হওয়ার কারণ হল ভোলা মাছের বায়ুথলি বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে ব্য়বহার করা হয়।