চরম বিপাকে একুশের বইমেলা, জৌলুসে ইতি টেনেছে লকডাউন
চৈত্রের কাঠপাটা রোদে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বইয়ের দোকান খুলেও কার্যত কোনও ক্রেতার মুখ দেখতে পেলেন না বিক্রেতারা।
ঢাকা: লকডাউনের আগে থেকেই ধুঁকছিল বাংলাদেশে (Bangladesh) একুশের বইমেলা। করোনার কোপে ভিড়ছিল গ্রন্থকীটদের। তবে বইমেলার জৌলুস একেবারে শেষ করে দিল এক সপ্তাহের লকডাউন। গণপরিবহণের বিশেষ ব্যবস্থা না থাকায় সোমবার ও মঙ্গলবার একেবারেই ভিড় ছিল না। বুধবার সামান্য কিছু বাস চললেও ভিড় নেই একুশের বইমেলায়।
চৈত্রের কাঠপাটা রোদে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে বইয়ের দোকান খুলেও কার্যত কোনও ক্রেতার মুখ দেখতে পেলেন না বিক্রেতারা। দেখা মিলল না পাঠকেরও। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়েছিল বইমেলা। বুধবার পাঁচটায় মেলা যখন বন্ধ হওয়ার মুখে তখন কয়েকজন তরুণ-তরুণী মেলায় আসেন, তবে বই বিক্রি হয়নি। প্রকাশকদের অবস্থাও খারাপ। স্টল খোলায় প্রতিদিন খরচ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। আর আয় একেবারেই নেই। বিশাল বিপাকে একুশে বইমেলার প্রকাশকরা।
কয়েকদিন আগেই প্রকাশকরা জানিয়েছিলেন, অনেকে মেলায় পছন্দমতো অংশে স্টল পেয়েও খদ্দেরের মুখ দেখছেন না। প্রত্যেকবার বইমেলায় মহম্মদ জ়ফর ইকবালের অন্তত দিনে দু’শো-তিন’শো কপি বিক্রি হয়। কিন্তু এ বার মেলায় লোক না হওয়ায় সেই বইরও বিক্রি নেই। প্রকাশকরা আগেই মেলায় কাটছাঁট করে ৭ তারিখ পর্যন্ত করার পরামর্শ দিয়েছিলেন । কিন্তু একাডেমি পর্যালোচনা করে জানিয়েছিল মেলা চলবে ১৪ তারিখ পর্যন্ত। সেই পরিস্থিতিতে আগামী ৭ দিন কীভাবে এই মেলা চলবে সে নিয়েও চিন্তায় পড়েছেন প্রকাশকরা। এ বারের মেলায় নতুন বই এসেছে ১৯৪টি। শেখ হাসিনার বই ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জনক আমার নেতা আমার’ প্রকাশিত হয়েছে।