Bangladesh : জবানবন্দিতে রংপুরের তাণ্ডবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার দুই অভিযুক্তের

Confession of accused in Rangpur case: আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্তরা।

Bangladesh : জবানবন্দিতে রংপুরের তাণ্ডবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার দুই অভিযুক্তের
বাংলাদেশ পুলিশের কড়া পদক্ষেপ (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2021 | 4:27 PM

ঢাকা: রংপুরের পীরগঞ্জে সংখ্যালঘু গ্রামে তাণ্ডবের ঘটনায় দুই মূল অভিযুক্ত সৈকত মণ্ডল এবং রবিউল ইসলামকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ (Bangladesh Police)। রংপুরে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে ইতিমধ্যেই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছে অভিযুক্তরা। সূত্র মারফত এমনটাই জানা গিয়েছে।

ধৃত সৈকত মণ্ডল আদালতে তার জবানবন্দিতে জানিয়েছে, সে ফেসবুকে উস্কানিমূলক পোস্ট করেছিল। উল্লেখ্য, এই পোস্টের পরই রংপুরের পীরগঞ্জে তাণ্ডব চলেছিল। অপর অভিযুক্ত রবিউল ইসলামও তার জবানবন্দিতে অগ্নিসংযোগ ও লুঠপাটের কথা স্বীকার করে নিয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। ধৃত সৈকত মণ্ডল ছাত্র লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

শুক্রবার গাজিপুরে এক অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ পুলিশ ওই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

সৈকত মণ্ডল রংপুরের কারমাইকেল কলেজের দর্শন বিভাগের ছাত্র। এদিকে সৈকতের গ্রেফতারির পর পরই বাংলাদেশের শাসক দল আওয়ামী লিগের ছাত্র সংগঠন ছাত্র লিগ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। বাংলাদেশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (RAB) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সৈকত তার ফেসবুকে ফলোয়ার সংখ্যা বাড়াতেই এই ধরনের আপত্তিকর কন্টেন্ট আপলোড করেছিল। অন্যদিকে রবিউল ইসলাম লাউডস্পিকারে সেই পোস্টের কথা ঘোষণা করে উস্কানি দিতে সাহায্য করেছিল।

এখনও পর্যন্ত অন্তত সাতজন অভিযুক্ত জবানবন্দিতে নিজেদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এর আগেই কুমিল্লার ঘটনায় দুই মূল অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন এবং ফায়েজ় আহমেদকেও গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।

কুমিল্লার পুজো মণ্ডপে যে তাণ্ডব চলেছিল, তার আঁচ ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা বাংলাদেশে। বিভিন্ন এলাকায় সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হয়েছে। তাণ্ডবের ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। কুমিল্লার ঘটনায় ধৃত ইকবাল হোসেনকে ইতিমধ্যেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে উচ্চ পর্যায়ের এক তদন্তকারী দল। বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ মানসিকতা স্পষ্ট হয়েছে একাধিকবার। বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গতকালই জানিয়ে দিলেছিলেন, তাণ্ডবের ঘটনায় অপরাধী যে দলেরই হোক, তার বিচার হবেই।   বলেন, “যারা অপরাধ করেছে, তাদের বিচার হবেই। সে যে দলেরই হোক, যে গোষ্ঠীরই হোক, যে জাতিরই হোক… অপরাধীর পরিচয় একটাই, সে অপরাধী। তার বিচার হবেই।”

তাণ্ডবের পর থেকে একাধিকবার সম্প্রীতির বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে শেখ হাসিনাকে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের সম্প্রীতির বাতাবরণ বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। কুমিল্লার ঘটনার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক ধরনের খবর ছড়িয়ে পড়ছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে এই ধরনে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কথায় বিশ্বাস না করার অনুরোধ করেছেন শেখ হাসিনা।

আরও পড়ুন : Sheikh Hasina: বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে, নাম না করে বিএনপিকে আক্রমণ হাসিনার