Salad Crisis: সব্জির অভাব! স্যালাড খেতে পারছেন না ব্রিটেনবাসী

Britain: শসা, টম্যাটোর মতো স্যালাডের জন্য প্রয়োজনীয় সব্জি আগে ইউরোপরীয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমদানি করত ব্রিটেন।

Salad Crisis: সব্জির অভাব! স্যালাড খেতে পারছেন না ব্রিটেনবাসী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 02, 2023 | 4:15 PM

লন্ডন: ব্রিটেন জুড়ে স্যালাড তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সব্জির অভাব। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে এই হাহাকার চলছে। যা গত কয়েক দিনে চরম আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্রিটেন সরকার এক গুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে। সে দেশের সরকারের তরফে সুপারমার্কেট গ্রুপগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন ভাবে মসৃণ করার জন্য। এর পাশাপাশি ব্রিটেনের বিভিন্ন সুপার মার্কেট ক্রেতাদের জন্য স্যালাডের সব্জি কেনার পরিমাণ নির্দিষ্ট করেছে। টেসকো, আসদা, মরিসন, আলদি মতো সব সুপারমার্কেট এই বিধিনিষেধ জারি করেছে। মূলত শসা, টম্যাটো, লঙ্কা এ সবের অভাব। যার জেরে ব্রিটেনবাসীর পাতে এখন পড়ছে না স্যালাড।

শসা, টম্যাটোর মতো স্যালাডের জন্য প্রয়োজনীয় সব্জি আগে ইউরোপরীয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমদানি করত ব্রিটেন। কিন্তু ব্রেক্সিটের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ব্রিটিশরা। মূলত দক্ষিণ ইউরোপের কয়েকটি দেশ ও উত্তর আফ্রিকা থেকে সব্জি আমদানি করে ব্রিটেন। স্পেন ও মরক্কো রয়েছে সেই তালিকার প্রথম সারিতে। কিন্তু অনিয়মিত আবহাওয়া বন্যা, তুষারপাতের জেরে ওই সব এলাকায় সব্জির চাষ ভয়ঙ্কর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

ঘটনা নিয়ে ব্রিটিশ ফুড অ্যান্ড ফার্মিং মিনিস্টার মার্ক স্পেনসার জানিয়েছেন, সোমবার তিনি ব্রিটেনের প্রধান স্টোরগুলির সঙ্গে বৈঠক করেছে। তাঁদের সঙ্গে সব্জি সরবরাহ এবং তার অভাবের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। এ বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, “আমি স্টোরগুলির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে আলোচনা করেছি। সব্জি উৎপাদন নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার কথা বলেছি। ফল, সব্জির ব্যাপারে কী সমস্যা হচ্ছে তা জানার জন্য কৃষকদের সঙ্গে সম্পর্কের পুনস্থাপনের বিষয়টি নিয়েও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম, যা সুপারমার্কেট গোষ্ঠীগুলির প্রতিনিধিত্ব করে। খুচরো বিক্রেতারা স্পেনসারকে বলেছে যে তারা বর্তমান চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার জন্য কাজ করছে এবং নিশ্চিত করেছে যে গ্রাহকদের আগামী সপ্তাহগুলিতে উন্নতি দেখতে শুরু করা উচিত। এ ব্যাপারে স্পেনসার বলেছেন, “খুচরা বিক্রেতারাও খাদ্য নিরাপত্তার গুরুত্ব স্বীকার করেছেন, কিন্তু উল্লেখ করেছেন যে এর জন্য সরকার, কৃষক, খাদ্য প্রস্তুতকারক, খুচরা বিক্রেতা এবং আতিথেয়তা জড়িত একটি বিস্তৃত কৌশল প্রয়োজন।”