Lung Transplant: ফুসফুস নিয়ে আকাশে উড়লো ড্রোন! প্রযুক্তির আশীর্বাদে প্রাণে বাঁচলেন বৃদ্ধ
Canada, lung transplant, এই বিরল ঘটনায় নিজের প্রাণ ফিরে পাওয়ার পর পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই রোগী স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের দুদিন পর থেকেই ওই রোগী স্বাভাবিকভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন।
ব্রমোন্ট: রাতের অন্ধকারে হঠাৎই কানাডার (Canada) টরোন্টোর (Toronto) একটি হাসপাতালের ছাদ থেকে উড়লো ড্রোন। কানাডার সবথেকে বড় শহরে গাড়ি ও পথচারীদের কোলাহলে ড্রোনের (Drone) শব্দ শ্রবনীয় হবে এমনটা কল্পনাও করা যায় না।
শুনে তাজ্জব বনে যাওয়ার মত একটি ঘটনা ঘটেছে কানাডাতে। সাধারণত নজরদারি বা বিপর্যয়ের সময় ড্রোন ব্যবহার করার চল রয়েছে সেখানে ব্যস্ত সময়ে উচু বাড়ি, অফিসে টাওয়ার অতিক্রম করে মানুষের ফুসফুস নিয়ে উড়ে যাচ্ছে একটি ড্রোন। স্বভাবতই এই ঘটনা নজির তৈরি করেছে।
১৫.৫ কেজি ওজনের কার্বন ফাইবারে নির্মিত ড্রোনটি ইউনাইটার বায়োইলেক্ট্রনিক্স নামক একটি সংস্থা তৈরি করেছে। টরোন্টো ওয়েস্টার্ন হাসপাতাল থেকে ১.২ কিলো মিটার দূরে অবস্থিত টরোন্টো জেনারেল হাসপাতালে ছাদে মাত্র ১০ মিনিটে পৌঁছে গিয়েছে ড্রোনটি। ঘটনাটি সেপ্টম্বর মাসের শেষে ঘটেছে। ড্রোন নির্মাতা সংস্থার দাবি বিশ্বে এই প্রথম ফুসফুস প্রতিস্থাপনের জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হল। এর আগে ২০১৯ সালে একই কায়দার আমেরিকাতে, ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিস্থাপনের জন্য কিডনি পাঠানো হয়েছিল।
টরোন্টো জেনারেল হাসপাতালে ছাদে শল্য চিকিৎসকদের একটি দল ফুসফুসের জন্য অপেক্ষা করছিল। জানা গিয়েছে ওই হাসপাতালে পালমোনারি ফাইব্রসিসে আক্রান্ত ৬৩ বছর বয়সী এক রোগীর দেহে সফলভাবে ফুসফুস প্রতিস্থাপন (Lungs Transplantation) সম্ভব হয়েছে। এই বিরল ঘটনায় নিজের প্রাণ ফিরে পাওয়ার পর পেশায় ইঞ্জিনিয়ার ওই রোগী স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের কাছে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের দুদিন পর থেকেই ওই রোগী স্বাভাবিকভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন। এমনকি ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে তিনি তাঁর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানেও অংশ নিয়েছেন।
ড্রোন নিয়ে দুবছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করা চিকিৎসক শাফ কেশবজী বলেছেন “আমরা একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় প্রমাণ করতে পেরেছি, যে এটি নিরাপদে এইভাবে ড্রোন ব্যবহার করা সম্ভব এবং টরন্টো শহরের যেকোনও সময় এবং যেকোনও প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করা যেতে পারে।”
ড্রোনটি কালো রঙয়ের একটি পাত্র বহন করেছিল। সেই পাত্র প্রতিস্থাপনযোগ্য অঙ্গে সঠিক অবস্থায় রাখতে সাহায্য করেছে। এমনটাই জানিয়েছেন ড্রোন নির্মাতা সংস্থা ইউনাইটার বায়োইলেক্ট্রনিক্সের ড্রোন ইঞ্জিনিয়ার মিকেল কার্ডিনাল। ড্রোনের মাধ্যমে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু করার আগে স্বাস্থ্য ও বিমান পরিবহন মন্ত্রকের ছাড়পত্র প্রয়োজন হয়েছে। এমনকি এই অঙ্গ বহনের কাজটি সফলভাবে রূপায়ণের জন্য বেশ কয়েকবার মহড়া করা হয়।
সাধারণত, একই শহরে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে অঙ্গ পরিবহনের জন্য গাড়ি ব্যবহার করা হয়, অথবা এক শহর থেকে অন্য শহরে অঙ্গ পরিবহন করার ক্ষেত্রে বিমান ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। ড্রোনের মাধ্যমে হাসপাতালগুলির মধ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন চালু হলে এক দিকে যেমন সময় বাঁচবে তেমনই প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্ন হবে।
আরও পড়ুন Jalpaiguri: ‘মাথা নীচে, পা উপরে করে পেটাত’, রি-হ্যাবে বন্ধ ঘরের কাণ্ডকারখানায় চোখ কপালে ওঠার জোগাড়!