ফন্দিফিকির এঁটে প্রতিবেশীদের ‘ভাতে মারছে’ চিন

জিনপিং প্রশাসনের (Jinping Government) এহেন পদক্ষেপের ফলে বিপদে পড়ছে প্রতিবেশী দেশের শিল্প। জীবিকা হারানোর পথে আম আদমিরা।

ফন্দিফিকির এঁটে প্রতিবেশীদের 'ভাতে মারছে' চিন
ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: Mar 04, 2021 | 2:29 PM

তাইপেই: সব সময় তাইওয়ানকে চিনের অবিচ্ছেদ্য অংশ দাবি করে এসেছে জিনপিং (Xi Jinping) প্রশাসন। অন্য দিকে তাইওয়ানেও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে চিন (China) বিরোধী শক্তি। তাই তাইওয়ানকে জব্দ করতে বিকল্প পথে হাঁটছে বেজিং। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাইওয়ানবাসীদের জন্য মাতসু আইল্যান্ড হল জীবিকার অন্যতম উৎস। কারণ সেখানকার মাছ বিক্রি করেই দিন চলে একাধিক মৎজীবী পরিবারের। সেখানেই ফন্দি এঁটে পরোক্ষভাবে তাইওয়ানকে বিপদে ফেলছে কমিউনিস্ট চিন।

একাধিক জাহাজ পাঠিয়ে মাতসু আইল্যান্ডের সৈকত থেকে বালি তুলে নিচ্ছে চিন। যার ফলে মাছ ধরতে গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে মৎস্যজীবদের। যার প্রভাব পড়ছে তাইওয়ানের মৎস্যশিল্পে। ৬ বছর ধরে তাইওয়ানে মাছের ব্যবসা করছেন চিহ জুই ইন। তিনি জানান, আগে প্রতি বছর ১ লক্ষ তাইওয়ান ডলার আয় হত তাঁর। কিন্তু যা এখন ১০ হাজার ডলারে এসে ঠেকেছে।

চিহ-র মতে বাজারের হাল এতটা খারাপ হওয়ার কারণ, চিনের অবৈধ বালি তোলা। অবৈধ ভাবে বালি তোলার ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে সেখানকার বাস্তুতন্ত্র। যার ফলে কমছে মাছেদের আনাগোনা। যার মাধ্যমে মাতসু আইল্যান্ড যা কি না ‘ফিসিং প্যারাডাইস’ নামে পরিচিত, সেখানে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগে গত বছর অবৈধ বালি তোলা রুখতে সংসদে আইন পাশ করেছিল তাইওয়ান। কিন্তু তারপরেও বন্ধ হয়নি এই অবৈধ কাজ।

এর আগে চিনের ৪ হাজার বালি তোলা জাহাজকে শনাক্ত করেছিলেন তাইওয়ানের উপকূলরক্ষীরা। তারপরেও থামেনি বালি তোলার কাজ। চিহ জানান আগে মাতসু আইল্যান্ড বালিময় হয়ে থাকত। কিন্তু ক্রমাগত বালি তোলার ফলে এখন সেখানে শুধুই পাথর। আর চিনের এই অবৈধ কাজের ফলে শুধু জীবিকা হারাচ্ছেন না তাইওয়ানের মৎস্যজীবীরা। প্রভাব পড়ছে মৎস্যশিল্পে, পাশাপাশি কমে যাচ্ছে তাইওয়ামের ভূখণ্ডের পরিধি। চিহ-র মতো হাজারো মৎস্যজীবীদের আর্জি যদি শীঘ্র এই বালি তোলা বন্ধ না হয়, তাহলে মাছ শিকার ছেড়ে কোনও বিকল্প জীবিকার কথা ভাবতে হবে তাঁদের।

আরও পড়ুন: মায়ানমারে ‘সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন’, পুলিশের গুলিতে নিহত ৩৮