দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে সফল চিনা ভ্যাকসিন

গবেষকরা জানান, যে সকল ব্যক্তিরা তিনটি ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ৯৩ শতাংশের দেহেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে।

দ্বিতীয় দফার ট্রায়ালেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে সফল চিনা ভ্যাকসিন
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Dec 23, 2020 | 8:19 PM

বেজিং: ভ্যাকসিন প্রস্তুতির দৌড়ে আগেই সামিল হয়েছিল চিন (China)। এবার গবেষকরা জানাল, চাইনিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স (Chinese Academy of Science)-র তৈরি ভ্যাকসিন ট্রায়ালের প্রাথমিক ও মধ্যবর্তী পর্যায়েই করোনা ভাইরাসের (COVID-19) বিরুদ্ধে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম হয়েছে।

জেডএফ২০০১ (ZF2001) নামক এই ভ্যাকসিনের শেষ পর্যায়ের পরীক্ষা চলছে চংকুইং জ়িফেই বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্ট (Chongqing Zhifei Biological Products)-র ইউনিটে। গতমাসেই এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে জানানো হয়, ট্রায়াল পর্যায়ে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের মধ্যে গুরুতর কোনও উপসর্গ দেখা যায়নি। অতি সাধারণ কিছু উপসর্গ যেমন, ইঞ্জেকশন নেওয়ার ব্যাথা, ইঞ্জেকশন নেওয়ার জায়গায় লাল ও ফোলা ভাব দেখা গিয়েছে।

গবেষণা পত্রে জানানো হয়, ট্রায়াল পর্যায়ের প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে মোট ৯৫০ জন সুস্থ মানুষের উপর ভ্যাকসিন (Vaccine) প্রয়োগ করা হয়েছে। এদের সকলেরই বয়স ১৮ থেকে ৫৯বছরের মধ্যে। দ্বিতীয় দফায় স্বেচ্ছাসেবকদের উপর কম ও বেশি মাত্রায় ভ্যাকসিনের ডোজ প্রয়োগ করেও কার্যকারীতা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। এছাড়া দুই ও তিন ডোজে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করেও পরীক্ষা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: করোনার দ্বিতীয় ছোবল রুখতে সাতদিন ব্যাপী লকডাউন ভুটানে

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কম ডোজের ভ্যাকসিনের তুলনায় ৩০ দিন অন্তরে দেওয়া বেশি ডোজের ভ্যাকসিনটি খুব বেশি কার্যকারীতা দেখায়নি। সুতরাং তৃতীয় দফার ট্রায়ালে দুই ডোজের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেই কার্যকারীতা যাচাই করা হবে।

গবেষকরা জানান, যে সকল ব্যক্তিরা তিনটি ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কমপক্ষে ৯৩ শতাংশের দেহেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। যাঁরা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের তুলনায় সুস্থ মানুষদের দেহে অ্যান্টিবডির পরিমাণ বেশি পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি করেন গবেষকরা। তবে কেবল অ্যান্টিবডি তৈরির ভিত্তিতেই ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা বোঝা সম্ভব নয়, কারণ গবেষকরা এখনও ভ্যাকসিন প্রয়োগে সৃষ্টি হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার স্থায়িত্ব সম্পর্কে কিছু জানতে পারেননি।

ডেজএফ২০০১ (ZF2001) ভ্যাকসিন ছাড়াও সিনোফার্ম (Sinopharm), সিনোভ্যাক বায়োটেক (Sinovac Biotech) ও ক্যানসিনো বায়োলজিকস (CanSino Biologics) সংস্থার প্রস্তুত করা চারটি করোনা ভ্যাকসিনেরও তৃতীয় দফার ট্রায়াল (3rd Phase Trial) শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: প্রতি ৩৩ সেকেন্ডে মৃত্যু করোনা ‘বিধ্বস্ত’ আমেরিকায়! চক্ষু ছানাবড়া পরিসংখ্যান