Video: দুমরে-মুচড়ে, টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে সেতুগুলি, এ কোন ‘দৈত্যে’র তাণ্ডব?

Taiwan Earthquake Drone Footage: ড্রোন ফুটেজে ধরা পড়ল মর্মান্তিক দৃশ্য, টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে রয়েছে ৬০০ মিটার দীর্ঘ সেতু। কোথাও কোথাও দুমরে মুচরে গিয়েছে সেতুর ধাতব অংশ। যেন কোনও দৈত্য চালিয়েছে তাণ্ডব।

Video: দুমরে-মুচড়ে, টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে সেতুগুলি, এ কোন 'দৈত্যে'র তাণ্ডব?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 21, 2022 | 1:54 PM

তাইপেই: গত রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ৬.৯ মাত্রার এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব তাইওয়ান। সব মিলিয়ে ১৪৬ জন আহত হয়েছেন এবং শুধুমাত্র একজনের মৃত্যু হয়েছে। হতাহতের সংখ্যায়, ভূমিকম্পটির ভয়াবহতা ধরা পড়েনি। তবে, তাইওয়ানের পূর্ব হুয়ালিয়েন কাউন্টির আইকনিক ‘গাওলিয়াও সেতু’টি ভূমিকম্পে যেভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে কতটা ব্যাপক ছিল কম্পনের মাত্রা। অনলাইনে প্রকাশিত একটি ড্রোন ফুটেজে দেখা ধরা পড়েছে, ৬০০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি পুরো টুকরো টুকরো পড়ে আছে। এই সেতুটির মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব তাইওয়ানের জনপ্রিয় পর্যটনস্থলগুলি সংযুক্ত ছিল।

যে ড্রোন ফুটেজটি সোশ্যাল মিডিয়ায় করা হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে নীচের জলাশয় এবং ঘাসজমির উপর কয়েক টুকরো হয়ে পড়ে রয়েছে সেতুটির বিভিন্ন অংশ। যে অংশটি এখনও স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে, সেটিতেও রয়েছে প্রচুর ফাটল। কোথাও কোথাও বেরিয়ে গিয়েছে সেতুটির কঙ্কাল। ধাতব অংশ এমনভাবে দুমরে মুচরে গিয়েছে, যে মনে হতে পারে কোনও দৈত্য তাণ্ডব চালিয়েছে।

বস্তুত, শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই দ্বীপরাষ্ট্রটির দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে কয়েক ডজন ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সবথেকে বড় কম্পনটি অবশ্য অনুভূত হয় রবিবার সকালে। যার জেরে পাহাড়ি রাস্তায় শয়ে শয়ে লোক আটকে পড়েছিলেন। অনলাইনে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গিয়েছে, বেশ কয়েকটি ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল, ভেঙে পড়েছিল বেশ কয়েকটি বহুতল ভবনও। শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত জোড়া বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে তাইওয়ান।

সেই দেশের আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তাইতুং শহর। রাজধানী তাইপেইতেও বহুতলগুলি অল্প সময়ের জন্য ভয়ঙ্করভাবে কেঁপে ওঠে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা জানিয়েছিল, ভূমিকম্পটির উৎসস্থল ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে।

প্রসঙ্গত, ভূমিকম্প তাইওয়ানে কোনও নতুন বিপদ নয়। প্রশান্ত মহাসাগরের অতি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল ‘রিং অব ফায়ার’-এর মধ্যে, দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছেই অবস্থিত এই দেশ। এই বিশেষ অবস্থানের কারণেই এই ঘন ঘন ভূমিকম্পের সাক্ষী হয় দ্বীপরাষ্ট্রটি। এর আগে শেষবার তাইওয়ানে অত্যন্ত শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.৬। মৃত্যু হয়েছিল ২০০০-এর বেশি মানুষের। ২০১৬ সালেও দক্ষিণ তাইওয়ানে একটি ভূমিকম্পে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন।