Gaza: কবরের জায়গা নেই, আইসক্রিম ট্রাকেই জমছে মৃতদেহ
Israel-Hamas War: ফ্রিজারের গায়ে এখনও বিজ্ঞাপনের ছবি রয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে শিশুরা আইসক্রিম খাচ্ছে। এই ট্রাকগুলি মূলত বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে আইসক্রিম ডেলিভারি করে। এখন সেগুলিই পরিণত হয়েছে অস্থায়ী মর্গে। ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের দেহই ভরে রাখা হচ্ছে ওই ট্রাকে।
গাজা: দূর থেকে বেলের শব্দ শুনেই ছুটে আসত শিশুরা। মা-বাবার কাছ থেকে চেয়েচিন্তে আনা টাকা দিয়েই আইসক্রিম কিনে খেত। সেই আইসক্রিম ট্রাক এখন হাসপাতালে রাখা। না, আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছে না। ওই ট্রাকের ভিতরেই রাখা হচ্ছে প্যালেস্তানীয়দের মৃতদেহ, যারা ইজরায়েলের এয়ারস্ট্রাইকে প্রাণ হারিয়েছেন। কারণ, মৃতদেহ কবর দেওয়ার জায়গা নেই আর। হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়াও কার্যত অসম্ভব।
ফ্রিজারের গায়ে এখনও বিজ্ঞাপনের ছবি রয়েছে। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে শিশুরা আইসক্রিম খাচ্ছে। এই ট্রাকগুলি মূলত বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে আইসক্রিম ডেলিভারি করে। এখন সেগুলিই পরিণত হয়েছে অস্থায়ী মর্গে। ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের দেহই ভরে রাখা হচ্ছে ওই ট্রাকে।
গাজার দেইর-আল-বালাহের একটি হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, “হাসপাতালের মর্গে কেবলমাত্র ১০টা দেহ রাখার জায়গা রয়েছে। বাধ্য হয়েই আমরা আইসক্রিম ফ্যাক্টরি থেকে ফ্রিজার আনিয়েছি দেহ রাখার জন্য। এত সংখ্যক মৃতদেহ আসছে যে রাখার জায়গা হচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্রিজার আনানো হলেও, মৃতের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তাতে অন্য কোনও বিকল্প খোঁজা হচ্ছে দেহ রাখার জন্য। আপাতত তাঁবু খাটিয়ে তার মধ্যে ২০-৩০টি দেহ রাখা হচ্ছে।”
যদি এভাবেই মৃত্যুমিছিল জারি থাকে, তবে আগামিদিনে আর মৃতদেহ কবর দেওয়ার মতো স্থানও থাকবে না। ইতিমধ্যেই সমস্ত কবরস্থান ভর্তি হয়ে গিয়েছে। গাজা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গাজা সিটিতে গণকবর খোঁড়া হচ্ছে।
বিগত কয়েক দশকে সবথেকে ভয়ঙ্কর সংঘর্ষ শুরু হয়েছে ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে। হাজার হাজার মানুষের মৃত্য়ু হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গাজা থেকেই ইজরায়েলে আক্রমণ শুরু করেছিল হামাস বাহিনী। এবার পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইজরায়েলও। লাগাতার মিসাইল বর্ষণ করা হচ্ছে। এই সংঘর্ষে প্রাণ হারাচ্ছেন গাজার সাধারণ নাগরিকরা।