Iran President on Protest: ‘প্রতিবাদ আর দাঙ্গায় ফারাক রয়েছে’, বিক্ষোভ নিয়ে চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ইরানের প্রেসিডেন্টের

Iran President on Protest: সঠিকভাবে হিজাব না পরার অপরাধেই পুলিশ গ্রেফতার করে ২২ বছরের মাহসা আমিনিকে। পুলিশি হেফাজতেি গত ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় মাহসার। এরপর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান।

Iran President on Protest: 'প্রতিবাদ আর দাঙ্গায় ফারাক রয়েছে', বিক্ষোভ নিয়ে চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি ইরানের প্রেসিডেন্টের
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2022 | 11:21 AM

তেহরান: বিক্ষোভের আগুন বাড়লেও, হিজাবের নিয়ম শিথিল করতে নারাজ ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি। মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই ইরানে যে হিজাব বিরোধী আন্দোলন শুরু করেছেন মহিলারা, বুধবার তার তীব্র নিন্দা করেন প্রেসিডেন্ট রইসি। তিনি বলেন, “যারা এই দাঙ্গায় অংশ নিয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা উচিত। এটাই ইরানের সাধারণ মানুষের দাবি।”

একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, “ইসলামিক রিপাবলিকান অব ইরানের সাধারণ মানুষের সুরক্ষা বিপদসীমার কাছে পৌঁছে গিয়েছে। কাউকে আইন ভঙ্গ করতে দেওয়া হবে না, অশান্তি সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। শত্রুরা আমাদের দেশের একতাকে নিশানা বানিয়েছে, সাধারণ মানুষকে একে অপরের বিরুদ্ধে উস্কে লড়াই শুরু করতে চাইছে।”

সঠিকভাবে হিজাব না পরার অপরাধেই পুলিশ গ্রেফতার করে ২২ বছরের মাহসা আমিনিকে। পুলিশি হেফাজতেি গত ১৬ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় মাহসার। এরপর থেকেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে ইরান। নিজেদের চুল কেটে, হিজাব পুড়িয়ে প্রতিবাদ প্রদর্শন করছেন ইরানের মহিলারা। বুধবার সাক্ষাৎকারে মাহসার কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট রইসি বলেন, “গোটা দেশ মহাসার মৃত্য়ুতে শোকাহত। শীঘ্রই ফরেন্সিক ও বিচার বিভাগীয় রিপোর্ট পেশ করা হবে। তবে এ কথাও মাথায় রাখা উচিত, প্রতিবাদ ও দাঙ্গার মধ্যে ফারাক রয়েছে।”

প্রেসিডেন্ট রইসি যতই বিক্ষোভকে দাঙ্গার অ্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করুক, বিক্ষোভকারীরা এত সহজে পিছু হটবেন না বলেই জানিয়েছেন। ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা’ এই তিন শব্দ ব্যবহার করেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ইরানের বাসিন্দারা। বিশ্বের অধিকাংশ দেশই ইরানের এই আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে।  দেশ-বিদেশের মহিলারা নিজেদের চুল কেটে এই বিক্ষোভে সমর্থন জানাচ্ছেন।

অন্য়দিকে, মাহসা আমিনির পরিবারের তরফে গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি করা হয়েছে। পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন মাহসার সমস্ত ছবি ও ভিডিয়ো প্রকাশেরও দাবি জানানো হয়েছে। আমিনির এক আত্মীয়, যিনি ইরাকের কুর্দিশ ন্যাশনালিস্ট গ্রুপের সদস্য়, তিনি দাবি করেছেন যে মাথায় গভীর আঘাতের কারণেই মাহসার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, থানায় নিয়ে গিয়ে মাহসার উপরে নির্মম অত্যাচার করা হয়। কীভাবে হিজাব পরতে হয় ও পোশাক পরতে হয়, তার নিয়ম যাতে মাহসার মাথায় ভালভাবে ঢুকে যায়, তার জন্য় পুলিশ অফিসাররা বারংবার মাহসার মাথায় আঘাত করেছিলেন।