Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

G20 Summit: জিনপিং ভারতে না আসায় হতাশ বাইডেন

জিনপিংয়ের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ভারতে আসবেন না জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে। যদিও এই দুই দেশের রাষ্ট্রনায়করা না এলেও তাঁদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বৈঠকে।

G20 Summit: জিনপিং ভারতে না আসায় হতাশ বাইডেন
বাইডেন ও জিনপিং। ফাইল ছবিImage Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 04, 2023 | 1:04 PM

ওয়াশিংটন: জি২০ সম্মেলনের বৈঠকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে নয়াদিল্লি। জোরদার করা হয়েছে রাজনীতির নিরাপত্তা। সেই বৈঠকে যোগ দিতে নয়াদিল্লিতে আসছেন জি২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির রাষ্ট্রনেতারা। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈঠকের ২ দিন আগেই পৌঁছে যাবেন ভারতে। একে একে অন্য রাষ্ট্রনেতারাও আসবেন। কিন্তু এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। চিনা প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতি নিয়ে এ বার মুখ খুললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বাইডেন সাফ জানিয়েছেন, চিনা প্রেসিডেন্ট না আসায় হতাশ তিনি। তবে ভবিষ্যতে অন্য কোনও মঞ্চে জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের সর্বেসর্বা। জিনপিংয়ের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ভারতে আসবেন না জি২০ সম্মেলনে যোগ দিতে। যদিও এই দুই দেশের রাষ্ট্রনায়করা না এলেও তাঁদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বৈঠকে।

রবিবার ডেলওয়ারের রিহোবোথ সমুদ্র সৈকতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। তখনই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল জি২০ সম্মেলনে রাষ্ট্রনেতাদের উপস্থিতি নিয়ে। তখনই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অনুপস্থিতি নিয়ে বাইডেন বলেছেন, “আমি হতাশ। কিন্তু আমি তাঁর সঙ্গে ঠিক দেখা করব।” যদিও কোথায় কখন সাক্ষাৎ হবে সে ব্যাপারে কিছু জানাননি বাইডেন। তবে নভেম্বর মাসে সান ফ্রান্সিসকোয় অনুষ্ঠিত এপিইসি কনফারেন্সে দেখা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাইডেন ও জিনপিংয়ের শেষ বার সাক্ষাৎ হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে কথা বলেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা। কিন্তু সেই সাক্ষাতের ছন্দপতন হয় কয়েক দিনের মধ্যেই। আমেরিকার আকাশে চিনা স্পাই বেলুনের উপস্থিতি ঘিরে দ্বন্দ্ব চরমে ওঠে আমেরিকা ও চিনের। আমেরিকা ও চিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব নতুন নয়। একাধিক ইস্যুতে দুই দেশ বিবাদে জড়িয়েছে। মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর চিনা ও আমেরিকার সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। তাইওয়ান প্রণালীতে চিনার চোঙরাঙানি মোটেই ভালভাবে নেয়নি ওয়াশিংটন। যদিও তার পরও মার্কিন প্রশাসনের একাধিক কর্তাব্যক্তি চিনে গিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক কূটনীতির স্বার্থে সম্পর্কে উন্নতির চেষ্টাও চলেছে। এই পরিস্থিতি নয়াদিল্লিতে দুই রাষ্ট্রনেতার মুখোমুখি হওয়া নিশ্চিতভাবেই অন্য মাত্রা পেত। কিন্তু তা না হওয়াতে হতাশ বাইডেন।