Maldives India relation: ‘সব ভুল বোঝাবুঝি…’, অবশেষে সুর নামিয়ে পথে এল মলদ্বীপ

Maldives India relation: মুখ-টুক পুড়িয়ে অবশেষে পথে এল মলদ্বীপ। মহম্মদ মুইজ্জু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়েছিল মলদ্বীপের, মেনে নিলেন সেই দেশের মন্ত্রী। তবে, তাঁর মতে সেটা ছিল ভুল বোঝাবুঝি। এখন সব মিটে গিয়েছে। আসলে এখন পাকে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি।

Maldives India relation: 'সব ভুল বোঝাবুঝি...', অবশেষে সুর নামিয়ে পথে এল মলদ্বীপ
শিগগিরই ভারতে আসবেন মলদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ মুইজ্জুImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Sep 15, 2024 | 7:33 PM

মালে: মুখ-টুক পুড়িয়ে অবশেষে পথে এল মলদ্বীপ। মহম্মদ মুইজ্জু রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর শুরুর দিনগুলিতে মলদ্বীপ-ভারত সম্পর্কের যে অবনতি ঘটেছিল তা স্বীকার করে নিলেন সেই দেশের বিদেশমন্ত্রী, মুসা জমির। তবে তাঁর দাবি, এখন দুই দেশের মধ্যে সব ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মিটে গিয়েছে। গত শুক্রবার শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েছিলেন মুসা জমির। সেখানে তিনি মলদ্বীপের প্রধান মিত্রশক্তি, বিশেষ করে চিন ও ভারতের সঙ্গে তাঁর দেশের সুসম্পর্কের গুরুত্বের উপর জোর দেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্ক নিয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছিল। বিশেষ করে মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুর প্রচারের জেরে দুই দেশের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়েছিল বলে মেনে নেন তিনি।

‘দ্য এডিশন’ পত্রিকাকে তিনি বলেছেন, “আপনারা জানেন, আমাদের সরকারের শাসনের শুরুতে, আমাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের কিছুটা অবনতি ঘটেছিল। চিন এবং ভারত – দুই দেশের সঙ্গেই আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে এবং দুই দেশই মলদ্বীপকে সমর্থন করে চলেছে।” মজার বিষয় হল, সম্প্রতি মলদ্বীপের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মলদ্বীপকে সতর্ক করেছে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলি। আর তারপরই এই মন্তব্য করলেন মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রী। আসলে, মলদ্বীপের বৈদেশিক ঋণের অধিকাংশই চিন ও ভারতের কাছে। এমনিতেই মলদ্বীপের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার তলানিতে। তার উপর, চলতি বছরে তাদের ৪০ কোটি ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার ঋণ শোধ করার কথা। যার ফলে, তাদের বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারে আরও চাপ পড়েছে। মলদ্বীপের হাতে বর্তমানে ৪৪ কোটি ৪০ লক্ষ ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে। তবে, এর মধ্যে মাত্র ৬ কোটি ১০ লক্ষ ডলার তারা ব্যবহার করতে পারবে।

শুধু মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রীই নয়, এই মুহূর্তে সুর নরম তাদের রাষ্ট্রপতি মুইজ্জুরও। গত মঙ্গলবার তাঁর মুখপাত্র জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই সরকারি সফরে ভারতে আসবেন তিনি। তবে তিনি বরাবরই চিনপন্থী বলেই পরিচিত। শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তিনি মলদ্বীপ থেকে ভারতীয় সামরিক কর্মীদের প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন। মলদ্বীপকে ব্যবহারের জন্য তিনটি এয়ারক্র্যাফ্ট উপহার দিয়েছিল নয়া দিল্লি। ভারতীয় সেনা কর্মীরাই সেগুলি পরিচালনা করতেন। দুই পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে সামরিক কর্মীদের সরিয়ে, তার বদলে অসামরিক কর্মীদের পাঠানো হয়েছে মলদ্বীপে।