Maldives President: সেনা সরানোর জন্য ভারতকে বলল মালদ্বীপ
মুইজ্জু নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম ইস্যু ছিল সে দেশ থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়া। ভারতের বন্ধু ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিকে হারিয়েই মুইজ্জু মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আবদুল্লা ইয়ামিন। তাঁর আমলেই চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় এই দ্বীপরাষ্ট্রের। মুইজ্জু প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
নয়াদিল্লি: শপথ নেওয়ার এক দিন পরেই ভারত বিরোধী পদক্ষেপ করলেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানালেন মুইজ্জু। মুইজ্জুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। সেখানে মুইজ্জুর সঙ্গে তিনি যখন দেখা করেন তখন এই অনুরোধ জানিয়েছেন মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট। ভারতের প্রতিবেশী এই দ্বীপরাষ্ট্রের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ এবং রেডারের দেখাশোনার জন্য ৭০ জন ভারতীয় সেনা জওয়ান রয়েছেন সেখানে। তা সরিয়ে নেওয়ার জন্যই অনুরোধ জানিয়েছে মালদ্বীপ।
প্রসঙ্গত, মুইজ্জু নির্বাচনী প্রচারের অন্যতম ইস্যু ছিল সে দেশ থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়া। ভারতের বন্ধু ইব্রাহিম মহম্মদ সোলিকে হারিয়েই মুইজ্জু মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হন। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আবদুল্লা ইয়ামিন। তাঁর আমলেই চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় এই দ্বীপরাষ্ট্রের। মুইজ্জু প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে একাধিক বার ভারত বিরোধী বক্তব্য শোনা গিয়েছে তাঁর কথায়।
যদিও শপথ নেওয়ার আগে এক সাক্ষাৎকারে মুইজ্জু জানিয়েছিলেন, ভারতকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে তিনি বলবেন না। এমনকি ছোট রাষ্ট্র হিসাবে ভারত ও চিনের ভূরাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকেও মালদ্বীপকে দূরে রাখার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু শপথ নেওয়ার পর ফের নিজের পুরনো অবস্থানে ফিরে গেলেন তিনি। যদিও ভারত সরকারের তরফে এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মইজ্জু যদি ভারতের সেনাকে সরিয়ে চিনের সেনাকে মালদ্বীপে জায়গা করে দেন তখন ভারত কী পদক্ষেপ করে, সে দিকে নজর থাকবে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের।