Maldives: তলে তলে দুর্নীতি চালাচ্ছিলেন খোদ মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টই! মুইজ্জুর পর্দাফাঁস

Mohammed Muizzu's Corruption: ২০১৮ সালের ওই গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুইজ্জুু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। কমপক্ষে ১০টি আর্থিক তছরুপের প্রমাণ মিলেছে। ওই তথ্য প্রমাণেই ইঙ্গিত মিলেছে যে রাজনৈতিকভাবে পরিচিত এবং সরকারি তহবিলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এই দুর্নীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।

Maldives: তলে তলে দুর্নীতি চালাচ্ছিলেন খোদ মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টই! মুইজ্জুর পর্দাফাঁস
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু।Image Credit source: AFP
Follow Us:
| Updated on: Apr 18, 2024 | 6:33 AM

মালে: ভোটের মুখেই পর্দাফাঁস প্রেসিডেন্টের! বিরাট দুর্নীতির অভিযোগ উঠল মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতিই একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। তাতেই মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের দুর্নীতির সমস্ত কীর্তি ফাঁস হয়ে গিয়েছে।

এক-দুই বছর নয়, ২০১৮ সাল থেকেই মুইজ্জু দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলেই দাবি। এই অভিযোগ সামনে আসতেই মলদ্বীপের বিরোধী নেতারা মুইজ্জুর বিরুদ্ধে তদন্ত এবং তাঁর ইমপিচমেন্টের দাবি করেছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট।

আগামী রবিবারই মলদ্বীপে সংসদীয় নির্বাচন। মলদ্বীপিয়ান ডেমোক্রাটিক পার্টি ও মুইজ্জুর পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের মধ্যে কড়া টক্কর হবে বলেই অনুমান। ঠিক তারই আগে, সোমবার একটি এক্স হ্য়ান্ডেল থেকে ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা রিপোর্ট পোস্ট করা হয়। সেখানেই দেখা যায়, মলদ্বীপের মনিটারি অথারিটি ও মলদ্বীপ পুলিশ সার্ভিস দাবি করেছে যে দুর্নীতিতে মলদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু যুক্ত।

২০১৮ সালের ওই গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুইজ্জুু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেআইনি আর্থিক লেনদেন হয়েছে। কমপক্ষে ১০টি আর্থিক তছরুপের প্রমাণ মিলেছে। ওই তথ্য প্রমাণেই ইঙ্গিত মিলেছে যে রাজনৈতিকভাবে পরিচিত এবং সরকারি তহবিলের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের এই দুর্নীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর বিরুদ্ধে অভিযোগ সামনে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। বিরোধী দল এমডিপি ও পিএনএফ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানায়। প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডঃ মহম্মদ জামিল আহমেদ ফাঁস হওয়া গোয়েন্দা রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করে প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর ইমপিচমেন্ট বা পদচ্যুতির দাবিও জানান।

যদিও মহম্মদ মুইজ্জু এই অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাননি। তিনি বলেন, “বিরোধীরা যতই চেষ্টা করুক না কেন, আমার বিরুদ্ধে কোনও অনৈতিক কাজের প্রমাণ দিতে পারবে না। এর আগে মেয়র ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ও এই ধরনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।”