Pakistan Cop: স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক! পুলিশকর্মীর নাক, কান কেটে দিলেন স্বামী
Pakistan: তাঁদের ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছেন। এবং ঘনিষ্ঠ অবস্থার ছবি ভিডিয়ো তুলে রেখেছিলেন।
লাহোর: পুলিশকর্মী তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। তাঁর স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেল করে জোর করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এমনই অভিযোগ তুলে এক পুলিশ কর্মীর উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করলেন এক ব্যক্তি। ওই পুলিশকর্মীর নাক, কান, ঠোঁট কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই পুলিশ কর্মী। অস্ত্র দিয়ে আঘাত করায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাঁর সঙ্গীরা ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে। লাহোর থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে ঘটেছে এই ঘটনা। সোমবার ঘটনার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান পুলিশ।
পুলিশ কর্মীর নাক, কান কেটে নেওয়ায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মহম্মদ ইফতিকার। আহত পুলিশ কর্মীর নাম কাসিম হায়াত। ইফতিকারের অভিযোগ, হায়াত তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে জোর করে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি করছেন এবং তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছেন। তাঁদের ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছেন। এবং ঘনিষ্ঠ অবস্থার ছবি ভিডিয়ো তুলে রেখেছিলেন। পরে সেই আপত্তিকর ভিডিয়ো দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করেছেন বলে হায়াতের। বিরুদ্ধে অভিযোগ ইফতিকারের।
পাক পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসে এই সব অভিযোগ তুলে হায়াতের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন ইফতিকার। পাকিস্তানের দণ্ডবিধির ৩৫৪ (মহিলাদের নিগ্রহ), ৩৮৪ (ব্ল্যাকমেল) এবং ২৯২ (পর্নোগ্রাফি) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। কিন্তু পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
সম্প্রতি বাড়ি থেকে থানার দিকে যাচ্ছিলেন পুলিশকর্মী হায়াত। সে সময় ইফতিকার তার দলবল নিয়ে হায়াতের উপর হামলা করেন বলে অভিযোগ। হায়াতকে একটি নির্জন জায়গায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে হায়াতের উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। তার পরই ধারালো অস্ত্র দিয়ে হায়াতের নাক, কান, ঠোঁট কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ইফতিকার ও সঙ্গীদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান পুলিশ।