Imran Khan: সাইফার মামলায় ‘দোষী’ সাব্যস্ত ইমরান খান ও শাহ মহম্মদ কুরেশি, চার্জশিট দিল FIA
FIA: সাইফার মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন ইমরান খান ও শাহ মহম্মদ কুরেশি। সম্প্রতি তাঁদের জামিন খারিজ করে দিয়ে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। এবার এফআইএ-র চার্জশিটের প্রেক্ষিতে ইমরানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়, সেটাই দেখার।
ইসলামাবাদ: তোষাখানা মামলায় আগেই নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এবার আরও বিপাকে পড়লেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা PTI চেয়ারম্যান। এবার সাইফার মামলায় ইমরান খানকে (Imran Khan) দোষী ঘোষণা করল পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (FIA)। শনিবার ইমরান ও তাঁর সঙ্গী তথা প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশিকে সাইফার মামলায় দোষী ঘোষণা করে বিশেষ আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে FIA।
FIA সূত্রে জানা গিয়েছে, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান দেশের গোপন কূটনৈতিক নথি ফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ। ইমরানের সঙ্গে এই অপরাধে শাহ মহম্মদ কুরেশিও অভিযুক্ত বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে পাকিস্তানের শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা। তবে এই মামলায় অভিযুক্ত পিটিআইয়ের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আসাদ উমরের নাম নেই চার্জশিটে। অন্যদিকে, এই মামলায় ‘শক্তিশালী সাক্ষী’ হিসাবে ইমরান খানের প্রাক্তন সচিব আজম খানের নাম চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে। এদিন বিশেষ আদালতে সাইফার মামলার চার্জশিট পেশ করার পাশাপাশি অবিলম্বে শুনানি শুরু করে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে এফআইএ।
প্রসঙ্গত, তোষাখানা মামলায় ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের নিম্ন আদালত। যদিও নিম্ন আদালতের সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে তাঁকে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তবে সাইফার মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন ইমরান খান ও শাহ মহম্মদ কুরেশি। সম্প্রতি তাঁদের জামিন খারিজ করে দিয়ে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিশেষ আদালত। এবার এফআইএ-র চার্জশিটের প্রেক্ষিতে ইমরানের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়, সেটাই দেখার।
সাইফার মামলা কী?
গত বছর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে পদচ্যুত করার পিছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগে সরব হয়েছিলেন ইমরান খান। তারপর সে ব্যাপারেই একটি নথি তিনি গত বছরের এপ্রিলে প্রকাশ্য জনসভায় দেখিয়ে বলেন, “এটা বিদেশি ষড়যন্ত্রের প্রমাণ।” এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ইমরান গোপন কূটনৈতিক নথি প্রকাশ্যে এনেছেন বলে অভিযোগ। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যান।