Pakistan PM: খাদ্য সঙ্কটে ধুঁকছে দেশ, মন্ত্রীরা চাইলেও ভারত থেকে খাদ্য আমদানি নিয়ে ছুৎমার্গ পাক প্রধানমন্ত্রীর
Pakistan PM on Food Import: জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টেনে শাহবাজ শরিফ বলেন, "ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানির সম্পর্ক নিয়ে কোনও সমস্যাই হত না, কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে যেভাবে গণহত্যা চলছে এবং কাশ্মীরিদের যেভাবে নিজেদের অধিকার পেতে দেওয়া হচ্ছে না।"
ইসলামাবাদ: ভয়ঙ্কর বন্যায় ভাসছে দেশ, ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে খাদ্যসঙ্কটও। এই পরিস্থিতিতেই ভারতের থেকে খাদ্যসামগ্রী আমদানির কথা ভাবতে শুরু করেছে পাকিস্তান। সোমবার রাতেই অর্থমন্ত্রী মিফতা ইসমাইল জানিয়েছিলেন যে, একাধিক দেশ থেকে খাদ্যসামগ্রী আমদানি করা হবে। এই তালিকায় ভারতেরও নাম রয়েছে। তবে ভারতের থেকে খাদ্যসামগ্রী আমদানি করা হবে কিনা, তা আগে চিন্তাভাবনা করে দেখা হবে। পাক মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন মোড় আসতে পারে, এই জল্পনাই শুরু হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই জল্পনা উড়িয়ে দেন।
ভয়াবহ বন্যায় বিধস্ত পাকিস্তান। বন্যায় এখনও অবধি ১১০০-রও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, প্লাবিত দেশের তিন ভাগই। ৩ কোটিরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সোমবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে গোটা ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর এই টুইটের পরই দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে তিক্ততা কিছুটা কমার ইঙ্গিত মেলে। তবে বিপদের সময়ও বন্ধুত্বে নারাজ পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। মঙ্গলবার খাদ্য়শস্য আমদানি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নবাণের মুখে পড়তেই তিনি জানান, ভারতের থেকে আমদানি যথেষ্ট জটিল বিষয়।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টেনে শাহবাজ শরিফ বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানির সম্পর্ক নিয়ে কোনও সমস্যাই হত না, কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরে যেভাবে গণহত্যা চলছে এবং কাশ্মীরিদের যেভাবে নিজেদের অধিকার পেতে দেওয়া হচ্ছে না।”
এরপরই তিনি সুর নরম করে বলেন, “তবে আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। আমরা যুদ্ধ করতে পারব না। আমাদের যেটুকু সম্পদ আছে, তা নিজেদের দেশের জনগণের উন্নতি ও দারিদ্র দূরীকরণেই ব্যয় করতে হবে। তবে সমস্যা না মেটানো হলে, আমরা কেউই শান্তিতে সহাবস্থান করতে পারব না। এই পরিস্থিতিতে আমাদের রাজনীতি করা উচিত নয় কিন্তু এটা সত্য় যে ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে… আমরা ওই অঞ্চলে শান্তি চাই। আমরা স্বেচ্ছায় প্রতিবেশী হইনি।”
ভারতের তরফে এখনও পাক প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের কোনও জবাব দেওয়া হয়নি।