Imran Khan: গ্রেফতারিতে কাজ হল না, ইমরানের দলকে ‘রাজনৈতিক জঙ্গি’ তকমা পাক বিদেশমন্ত্রীর
Bilawal Bhutto Zardari: ইমরান গ্রেফতারি পরবর্তী পাকিস্তানে হিংসা নিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, “আমরা সব সময় আলোচনায় বিশ্বাসী। কিন্তু এখন জঙ্গিদের সঙ্গে কী ভাবে কথা বলা সম্ভব? আমরা একমাত্র তাঁদের সঙ্গেই কথা বলে পারি যাঁরা জঙ্গিবাদের নিন্দা করে এবং নিজেদের সেই কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখেন।”
ইসলামাবাদ: প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেফতারি ঘিরে চূড়ান্ত অশান্তির সাক্ষী থেকে পাকিস্তান। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতা-কর্মীদের জমায়েত, ভাঙচুর, পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পেয়েছেন ইমরান। তার পর থেকেই হিংসার জন্য ইমরান ও তাঁর দলকে দায়ী করে পাকিস্তানের বর্তমান শাসকদের আক্রমণ ধেয়ে আসছে পিটিআই প্রধানের উদ্দেশে। শনিবারই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ আক্রমণ করেছিলেন ইমরানকে। এ বার পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির আক্রমণের মুখে পড়লেন ইমরান। ইমরানের দলকে ‘রাজনৈতিক জঙ্গি’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি সে দেশের বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা শোনা গিয়েছে পাক বিদেশমন্ত্রীর গলায়।
ইমরান গ্রেফতারি পরবর্তী পাকিস্তানে হিংসা নিয়ে পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, “আমরা সব সময় আলোচনায় বিশ্বাসী। কিন্তু এখন জঙ্গিদের সঙ্গে কী ভাবে কথা বলা সম্ভব? আমরা একমাত্র তাঁদের সঙ্গেই কথা বলে পারি যাঁরা জঙ্গিবাদের নিন্দা করে এবং নিজেদের সেই কার্যকলাপ থেকে দূরে রাখেন।” ইমরান এবং তাঁর দল পিটিআই-কে আক্রমণের পাশাপাশি বিচার ব্যবস্থাকেও সমালোচনা করেছেন বিলাওয়াল। তাঁর মতে সে দেশের বিচার ব্যবস্থা ‘প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রাজনৈতিক’ হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে বিলাওয়াল বলেছেন, “আমরা যখন গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার করছি, তখন বিচার ব্যবস্থা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রাজনৈতিক হয়ে পড়ছে। যখন একনায়কতন্ত্র ছিল তখন তাঁরা চুপ ছিল।”
তবে বিলাওয়ালই প্রথম নয়। এর আগে পাক প্রধানমন্ত্রী, গৃহমন্ত্রী হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ইমরানের দলের সমালোচনা করেছিলেন। পাক গৃহমন্ত্রী রানা সানাউল্লা পিটিআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার সওয়াল করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “সশস্ত্র দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের (পিটিআই) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।” পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও বলেছিলেন, “ইমরান খান ও তাঁর সমর্থকরা জঙ্গিদের থেকে কম কিছু নয়।”