Hospitalisation Risk from Omicron: ‘ডেল্টার তুলনায় বেশি সংক্রামক হলেও…’ উদ্বেগের মাঝেই ওমিক্রন নিয়ে মিলল স্বস্তির খবর
Hospitalisation Risk from Omicron: বুধবারই দক্ষিণ আফ্রিকার ন্য়াশনাল ইন্সটিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজের তরফে জানানো হয়, অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৮০ শতাংশ কম। ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের ক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও ৭০ শতাংশ কম।
লন্ডন: করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে চিকিৎসক-গবেষকদের। গত ২৫ নভেম্বর প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় খোঁজ মিলেছিল বি.১.১.২৫৯ ভ্যারিয়েন্ট(B.1.529)-র, যা ওমিক্রন (Omicron) নামে পরিচিত। এক মাস পূরণ হওয়ার আগেই তা বিশ্বের শতাধিক দেশে তা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশেও আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৮- এ পৌঁছেছে। তবে এরই মাঝে একটি স্বস্তির খবর পাওয়া গেল। এক গবেষণার প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
স্কটল্যান্ডের গবেষকরা জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তি, যিনি আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, ডেল্টা(Delta)-র তুলনায় ওমিক্রন ভ্য়ারিয়েন্ট তাঁর ১০ গুণ বেশি আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ওমিক্রনে আক্রান্তদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ কম।
লন্ডনের ইমপেরিয়াল কলেজের গবেষকরাও ইংল্যন্ডে ওমিক্রন আক্রান্তদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে জানিয়েছেন, ওমিক্রনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম এবং হাসপাতালে রাত কাটানোর সম্ভাবনাও ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ কম।
এর আগে বুধবারই দক্ষিণ আফ্রিকার ন্য়াশনাল ইন্সটিটিউট ফর কমিউনিকেবল ডিজিজের তরফে জানানো হয়, অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ওমিক্রনে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় ৮০ শতাংশ কম। ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনের ক্ষেত্রে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও ৭০ শতাংশ কম।
এই গবেষণার তথ্যগুলি প্রাথমিক হলেও গবেষকদের ধারণা, সংক্রমণের ক্ষেত্রে ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন বেশি শক্তিশালী হলেও ওমিক্রনে আক্রান্তদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম। তবে গবেষকরা এই সতর্কবার্তাও দিয়েছেন যে, বিশ্বব্যপী যদি ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়তে থাকে, তবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে। ব্রিটেনের উদাহরণ দিয়েই তারা বলেন যে, সেখানে ইতিমধ্যেই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ পার করেছে। এই পরিস্থিতিই চলতে থাকলে আগামিদিনে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ভেঙে পড়বেই।
স্কটল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য আধিকারিক জিম ম্যাকমেনামিন বলেন, “আমাদের এই কথা মাথায় রাখতে হবে যে আমরা যেন আগ বাড়িয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেই। অল্প সংখ্যক মানুষও যদি গুরুতর অসুস্থ হন, তবে তাদের চিকিৎসাও যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠতে পারে।”
বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(World Health Organization)-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘ্রেবিয়াসিস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) -ও জানান, কেবল বুস্টার ডোজ় দিলেই ওমিক্রন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, “বুস্টার ডোজ় দিতেই কোনও দেশ পার পাবে না। বুস্টার ডোজ়ের অর্ত এই নয় যে স্বাস্থ্যবিধি ভুলে উৎসবে মজে ওঠা।”
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতাদের রিপোর্ট তুলে ধরে হু-র প্রধান জানান, টিকাকরণের প্রধান লক্ষ্য গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু প্রতিরোধের উপরই থাকা উচিত। বিশ্বে প্রতিদিন যে পরিমাণ করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে ২০ শতাংশই অতিরিক্ত ডোজ় বা বুস্টার ডোজ় হিসাবে দেওয়া হচ্ছে। এরফলে আগামিদিনে বিশ্বে টিকা বৈষম্য আরও বাড়তে পারে।