WHO Chief on Omicron: ‘বুস্টার ডোজ় দিয়েই পার পাওয়া যাবে না’, ওমিক্রন রোখার বাস্তব ‘দাওয়াই’ দিলেন WHO প্রধান

WHO Chief on Omicron & Booster Dose: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতাদের রিপোর্ট তুলে ধরে হু-র প্রধান জানান, টিকাকরণের প্রধান লক্ষ্য গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু প্রতিরোধের উপরই থাকা উচিত।

WHO Chief on Omicron: 'বুস্টার ডোজ় দিয়েই পার পাওয়া যাবে না', ওমিক্রন রোখার বাস্তব 'দাওয়াই' দিলেন WHO প্রধান
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসিস। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 23, 2021 | 11:42 AM

জেনেভা: বছর শেষেই করোনাকে (COVID-19) বিদায় জানানোর পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু উদ্বেগ বাড়িয়ে হাজির হয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন (Omicron)। ডেল্টার থেকেও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ায় এই সংক্রমণ নিয়ে চিন্তিত চিকিৎসক-গবেষকরাও। এরই মাঝে একাধিক দেশের তরফে বুস্টার ডোজ় (Booster Dose) দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(World Health Organization)-র ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস আধানম ঘ্রেবিয়াসিস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বুধবার জানালেন, কেবল বুস্টার ডোজ় দিলেই ওমিক্রন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে না।

আর দু’দিন বাদেই বড়দিন। তারপরই রয়েছে নববর্ষ। বিশ্বজুড়েই সাড়ম্বরে পালিত হয় এইগুলি। কিন্তু ওমিক্রনের কাঁটাই সেই উৎসবে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অনেকেই আবার ভাবতে শুরু করেছেন বুস্টার ডোজ় নিলেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট থেকে তারা সম্পূর্ণ রূপে সুরক্ষিত থাকবেন, তাই উদযাপনে কোনও বাধা থাকবে না। সাধারণ মানুষের এই ভ্রান্ত ধারণাকে ভাঙিয়ে দিয়েই বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, “বুস্টার ডোজ় দিতেই কোনও দেশ পার পাবে না। বুস্টার ডোজ়ের অর্ত এই নয় যে স্বাস্থ্যবিধি ভুলে উৎসবে মজে ওঠা।”

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতাদের রিপোর্ট তুলে ধরে হু-র প্রধান জানান, টিকাকরণের প্রধান লক্ষ্য গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু প্রতিরোধের উপরই থাকা উচিত। বিশ্বে প্রতিদিন যে পরিমাণ করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে ২০ শতাংশই অতিরিক্ত ডোজ় বা বুস্টার ডোজ় হিসাবে দেওয়া হচ্ছে। এরফলে আগামিদিনে বিশ্বে টিকা বৈষম্য আরও বাড়তে পারে।

উল্লেখ্য, টিকা বৈষম্য নিয়ে আগেও সরব হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। প্রথম বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলির কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত টিকা মজুত রয়েছে, অন্যদিকে আর্থিকভাবে দুর্বল ছোট ছোট অনেক দেশই এখনও করোনা টিকা পায়নি। বুধবারও সাংবাদিক বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, “এইধরনের বুস্টার টিকাকরণ কর্মসূচি চললে প্যানডেমিক শেষ হওয়ার বদলে আরও দীর্ঘায়িত হবে। যে সমস্ত দেশে ইতিমধ্যেই জনসংখ্যার বড় অংশ করোনা টিকা পেয়ে গিয়েছে, সেখানে আরও টিকা সরবরাহ করা হলে, ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া ও অভিযোজনের আরও সুযোগ দেওয়া হবে।”

পাশ্চাত্য়ের দেশগুলিতে যেখানে প্রাপ্তবয়স্কদের বুস্টার ডোজ় দেওয়া হচ্ছে, সেখানেই এমন অনেক দেশও রয়েছে, যেখানে মোট জনসংখ্যার অর্ধেকও এখনও করোনা টিকা পাননি। হু প্রধান টেড্রোস আধানম বলেন, “করোনার গুরুতর সংক্রমণ নিয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি  হচ্ছেন ও মারা যাচ্ছেন, তাদের মধ্যে অধিক সংখ্যকই টিকা প্রাপ্ত নন, এমন ব্যক্তি।”

বর্তমানে যে করোনা টিকাগুলি রয়েছে, তা ডেল্টা ও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম, এই কথা মাথায় রাখার পরামর্শও দেন তিনি। যত দ্রুত সম্ভব বিশ্বের ৪০ শতাংশ জনগণ এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে যাতে বিশ্বের ৭০ শতাংশ জনগণকে করোনা টিকা দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যমাত্রাই স্থির করতে বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য গাইডলাইনেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যারা ওমিক্রন আক্রান্ত বা সন্দেহজনক আক্রান্তের সংস্পর্শে যাবেন, তারা যেন অবশ্য়ই মেডিকেল মাস্ক পরে থাকেন। যেখানে হাওয়া চলাচল কম, সেখানে এন৯৫, এফএফপি২ জাতীয় মাস্ক পরতে হবে।