Dehradun: দেরাদুনে সিল করা হল নির্বাসিত আফগান রাজার বাড়ি, গৃহহীন ১৬ পরিবার
Dehradun: বৃহস্পতিবার, কাবুল হাউস থেকে সমস্ত দখলদারি অপসারণ করে সিটি ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ। এর ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছে অন্তত ১৬টি পরিবারের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ লোক। এঁরা সকলেই নিজেদের নির্বাসিত আফগান রাজার বংশধর বলে দাবি করেন।
দেরাদুন: দেরাদুনের ইসি রোডে অবস্থিত ‘কাবুল হাউস’। ১৯ শতকের শেষদিকে, দ্বিতীয় ইঙ্গ-আফগান যুদ্ধের পর ভারতে নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল তখনকার আফগানিস্তানের রাজা মহম্মদ ইয়াকুব খানকে। তিনিই এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। বৃহস্পতিবার এই বাড়িটি সিল করে দিল দেরাদুন কর্তৃপক্ষ। কারণ এটি শত্রুপক্ষের সম্পত্তি। তার আগে বৃহস্পতিবার, কাবুল হাউস থেকে সমস্ত দখলদারি অপসারণ করে সিটি ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ। এর ফলে গৃহহীন হয়ে পড়েছে অন্তত ১৬টি পরিবারের প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ লোক। এঁরা সকলেই নিজেদের নির্বাসিত আফগান রাজার বংশধর বলে দাবি করেন।
গত ৪০ বছর ধরে দেরাদুন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাবুল হাউস নিয়ে মামলা চলছে। ২০১৯-এ জেলা কর্তৃপক্ষ বাড়িটিকে ‘শত্রুপক্ষের সম্পত্তি’ হিসেবে দাগিয়ে দিয়েছিল। জেলা প্রশাসনের দাবি, কাবুল হাউসে যারা থাকতেন, দেশভাগের পর তারা সকলেই পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। ফলে, এই সম্পত্তিটি পাকিস্তানিদের বলেই ধরতে হবে। তাই এটিকে ‘শত্রুপক্ষের সম্পত্তি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দিন কয়েক আগে, আদালত বাড়িটি থেকে সবাইকে উঠে যাওয়ার আদেশ দিয়েছিল। বাড়িটি খালি করার জন্য ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার, পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে সকলকে বাড়ি থেকে বের করে দেন জেলাশাসক।
তবে, বাড়িটির এতদিনের বাসিন্দারা জানিয়েছে, তাঁরাই ইয়াকুব খানের বংশধর। আর, তাঁরা কখনই কাবুল হাউস ছেড়ে যাননি। তাঁদের দাবি, ইয়াকুবের ১১ জন ছেলে এবং ১১ জন মেয়ে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকজন পাকিস্তানে পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁদের অধিকাংশই দেরাদুন বা আফগানিস্তানে থেকে গিয়েছিলেন। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, একশ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই বাড়িতে থাকেন তাঁরা। হঠাৎ করেই তাঁদের বাড়ি খালি করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন অকূল পাথারে পড়েছেন তাঁরা। ১৪৪ বছরের পুরোনো এই বাড়িটির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।