Russia Ukraine War: পুতিনের উপর হামলা হতেই পাল্টা ড্রোন হামলা রাশিয়ার, কড়ায় গন্ডায় জবাব জেলেনস্কির
বুধবার ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছিল রাশিয়া। মস্কোর অভিযোগ ছিল, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল জেলেনস্কির নেতৃত্বাধীন ইউক্রেন। যধিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে ইউক্রেন। কিন্তু এই হামলার পর থেকেই সুর চড়িয়েছে রাশিয়া।
কিয়েভ: ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার দায়ভার ইউক্রেনের উপর চাপিয়েছে রাশিয়া। সেই হামলার মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিল ইউক্রেন বলে অভিযোগ মস্কোর। যদিও প্রেসিডেন্ট পুতিন অক্ষত রয়েছেন। কিন্তু এই হামলার পর ইউক্রেনকে ভয়ঙ্কর পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়েছে রুশ সেনাবাহিনী। ক্রেমলিনে হামলার ঘটনার পরই ইউক্রেনে ২৪টি ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। কিন্তু সেই ২৪টি ড্রোনের মধ্যে ১৮টি ড্রোনকে গুলি করে নামিয়েছে ইউক্রেনের সেনা। ইউক্রেনের এয়ারফোর্সের তরফে বৃহস্পতিবার এই দাবি করা হয়েছে। এক টেলিগ্রাম বার্তায় ইউক্রেনের এয়ারফোর্স জানিয়ছে, “১৩৬/১৩১ আক্রমণকারী ২৪ ড্রোন হামলা চালালো হয়েছিল। ইউক্রেনের এয়ারফোর্স ও অন্য এয়ার ডিফেন্স ইউনিটের সহায়তায় ১৮টি আক্রমণকারী ড্রোনকে গুলি করে নামনো হয়েছে।”
রাশিয়ার হামলাকারী ড্রোনকে গুলি করে নামাবার প্রসঙ্গে বিবৃতি দিয়েছেন কিয়েভের সেনা প্রশাসনের প্রধান সের্গি পপকো। তিনি বলেছেন, “কিয়েভের আকাশসীমায় শত্রুদের মিসাইল এবং ইউএভি (আনম্যানড এরিয়্যাল ভেহিক্যাল) ধ্বংস করেছে এয়ার ডিফেন্স ফোর্স।” মে মাসে এ নিয়ে তৃতীয় বার হামলা চালানো হল বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “এ বছরর শুরু থেকে এ রকম ঘন ঘন হামলা হয়নি আমাদের শহরে (কিয়েভ)।” ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্সের পাল্টা প্রত্যাঘাতে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পপকো। তবে তাতে কেউ আহত হননি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার ক্রেমলিনে ড্রোন হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছিল রাশিয়া। মস্কোর অভিযোগ ছিল, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল জেলেনস্কির নেতৃত্বাধীন ইউক্রেন। যধিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করে ইউক্রেন। কিন্তু এই হামলার পর থেকেই সুর চড়িয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের উপর হামলার ঝাঁঝ বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এমনকি রুশ পার্লামেন্টের স্পিকার কিয়েভ শহর ধ্বংস করে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। এর পর থেকেই ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া। প্রাণপণে তা প্রতিরোধ করছে ইউক্রেনও।